রাণীনগরে ইরি-বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক

রাণীনগর প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় ইরি-বোরো মৌসুমে ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বাজারে আমন ধানের দাম ভালো পাওয়া এবার ইরি-বোরো ধান চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যেই উপজেলা জুড়ে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭০ ভাগ জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে। শীত উপেক্ষা করে কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদিন মাঠে কাজ করছেন চাষীরা। এদিকে বাজারে ডিজেল তেল ও কীটনাশক ঔষধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষে বিঘা প্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলার রাণীনগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে কৃষি বিভাগ। ইতি মধ্যেই প্রায় ৭০ ভাগ জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে। এবার উপজেলা জুড়ে জিরা, কাটারী, ৭৫, ৭১, ব্রি-৮১, ৮৯, ১০০ ধানসহ অন্যান্য জাতের ধান রোপন করা হচ্ছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, বাজারে আমন মৌসুমের ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় এ বছর আমন ধানের ফলন যেমন ভালো হয়েছে তেমনি বাজারে দামও বেশ ভালো পেয়েছেন চাষিরা। ফলে সব মিলিয়ে এবার ইরি-বোরো ধান চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা।

উপজেলার খট্টেশ^র গ্রামের সামছুর রহমান, ভাটকৈ গ্রামের কৃষক সুর্দশন চন্দ্র, বেলঘরিয়া গ্রামের কৃষক হাসান আলী সহ অনেকেই জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমানে বাজারে ধানে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। তাই কৃষকরা ইরি-বোরো ধান চাষে বেশি ঝুঁকেছেন। ইতি মধ্যেই অধিকাংশ জমিতেই ধান রোপন করেছেন কৃষকরা। তারা জানান, বাজারে ডিজেল তেল ও কীটনাশক ঔষধের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কৃষকদের ধান চাষে বিঘা প্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে। এসবের দাম কমে গেলে কৃষকরা ধান চাষে অধিক লাবভান হবেন বলে আশা করছেন তারা।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, ইরি-বোরো ধান চাষে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগীতা দিয়ে আসছে। এবার চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ইতি মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার ৭০ ভাগ জমিতে ধান রোপন করা হয়ে গেছে। আশা করছি এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ধান রোপন শেষ হবে বলেও মনে করছেন তিনি।

এএইচ/এস