রাণীনগরে অ-গভীর নলকূপের সংযোগকে কেন্দ্র করে সংঘাতের আশঙ্কা

রাণীনগর প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে সেচ নিতীমালা আইন অমান্য খাসগড় গ্রামের পশ্চিম মাঠে একটি অ-গভীর নলকূপের সংযোগকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসি।

সেচ নিতীমালা অমান্য করে অ-গভীর নলকূপের লাইসেন্স প্রদান করায় বিদ্যুৎ লাইন নির্মানকে ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা সেচ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ঠ কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের খাসগড় গ্রামের মৃত সুধির চন্দ্র প্রামানিকের ছেলে যুগোল চন্দ্র প্রামানিক খাসগড় মৌজার ১৭৪ নাম্বার দাগে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন নীতিমালা অনুযায়ী একটি অ-গভীর নলকূপ স্থাপন করেন। এরপর বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন করে গত বোরো মৌসুম থেকে সেচ সরবরাহ করে আসছেন। হটাৎ করে যুগোল চন্দ্রের অগভীর নলকূপ থেকে ৪২০ ফিট দুরে আকনা মৌজায় বড়িয়া গ্রামের ফজলুর রহমান নীতিমালার তোয়াক্কা না করে একটি অগভীর নলকূল স্থাপনের জন্য বিদ্যুতের লাইন নির্মানের কাজ করছেন এবং সংযোগের নেওয়ার প্রস্ততি চালিয়ে যাচ্ছেন। সেচ নীতিমালা অনুযায়ী ফজলুর রহমানের অ-গভীর নলকূপ স্থাপনের বিদ্যুতায়নের সংযোগ বন্ধের জন্য গত ৩১ মে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও রাণীনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন যুগোল চন্দ্র।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বর্তমান সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মো: মিজানুর রহমান তদন্ত করেন। তদন্তে একটি অ-গভীর নলকূপ থেকে অপরটির দুরত্ব নীতিমালা অনুযায়ী ৮২০ ফিট হবার কথা থাকলেও নীতিমালার দূরত্ব না মেনে ফজলুর রহমানকে সেখানে মাত্র ৪৪০ ফিট দুরে স্থাপনের ছারপত্র দেয়া হয়েছে। এতে উভয় পক্ষ চরম ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে উল্লেখ করে গত ৭ জুন সেচ কমিটি বরাবর তদন্ত প্রতিবেন দাখিল করেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী যুগল চন্দ্র প্রামানিকের ছেলে জয়ন্ত কুমার প্রামানিক জানান, আমাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলেও গত ২১ দিনেও আইনানুগ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এতে করে আমাদের উভয় পক্ষের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। বাধা দিতে গেলেই সংঘাত বাধতে পারে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন ও ফজলুর রহমানের অগভীর নলকূপের বিদ্যুতায়নের সংযোগ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে ফজলুর রহমান বলেন, আমরা একই সাথে ছারপত্র পেয়েছি। সে আগেই লাইন নির্মান করেছে, আর আমি এখন করছি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মো: মিজানুর রহমান বলেন, আমার আগের অফিসার এই ছারপত্র দিয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারব আমি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। স্যার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

এ ব্যাপারে রাণীনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম আসাদুজ্জামান বলেন, লাইন নির্মান কাজ আমাদের না,ওটা নওগাঁ অফিসের কাজ। ফজলুর রহমানের অগভীর নলকূপে বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি ঘটনাটি ইউএনও স্যারকে অবগত করেছি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল মামুন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

স/অ