রাজশাহী সুগার মিলের কাশিয়াডাঙ্গার সাবজোন অফিসটি মাদকসেবনের আখড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক


কাজে আসে না রাজশাহী সুগার মিলস্ লিমিটেডের কাশিয়াডাঙ্গায় ব্যবস্থাপক সম্প্রসারণ কার্যালয়ের সাবজোন অফিসটি। তাই ভুরুক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষে। অফিসের রুমগুলোর দরজা-জানালা চুরি হয়েছে দীর্ঘদিন আগেই। এখন শুরু দরজা-জানালা বিহীন ঘর পড়ে আছে।
এমন পরিত্যক্ত কোয়াটারে নিরাপদ মাদক ও জুয়া খেলার জোনে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, চলে অসামাজিক কার্যকলাপও এমনটি জানান স্থানীয়রা। তারা জানান, মাদক সেবনের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে সুগার মিলের এই সাবজোন অফিসটি। পরিত্যক্ত হওয়ায় তেমন নজর নেই প্রশাসনের। তাই দেদারসে চলে মাদক সেবন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোয়াটারগুলো প্রায় ৩০ বছর ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তাই সাধারণ মানুষের যাওয়া আসা নেই। ফলে উঠতি বয়সের কিশোর-যুবকরা মাদক সেবনের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছে। মাদকের টাকা যোগান দিতে প্রতিটি কোয়াটারের দরজা জানালা সব চুরি করে নিয়ে গেছে মাদকসেবীরা। এছাড়াও এখানে প্রায় রাতেই চলে অসামাজিক কাজ। সরেজমিনে কোয়াটারের ভিতরে মাদক সেবনের বহু উপকরণ দেখা গেছে।
জানা গেছে, মতিউর রহমান নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দরজা-জানালা বিহিন পরিত্যাক্ত কোয়াটারে বসবাস করেন। কোথাও জায়গা না পেয়ে তিনি এই অন্ধকারে থাকেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, প্রায় রাতেই এখানে মাদক সেবীদের আখড়া বসে। রাত হলেই এখানে শুরু হয় মাদক সেবন। শুধু মাদক নয়, চলে অসামাজি কার্যকলাপও। এদেরকে কেউ বাঁধা দেওয়ার নেই। জায়গাটি নিরিবিলি ও অন্ধকার হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে রূপ নিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোসা. জিরিনা জানান, পাহাদার না থাকায় কোয়াটারের সকল জানালা দরজা চুুরি করেছে মাদক সেবীরা। অনেকদিন থেকে কোয়াটারগুলা পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে কোয়াটারে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ হয় বলে অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, টিম পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

স/আ