রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত, নগরীতে মোট ২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শেষে মোট ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে একজন হলেন রাসিকের কর্মচারী। রামেক হাসপাতাল ল্যাবে এদিন মোট ৯৪ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে নগরীর ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত একদিনে নগরীতে সর্বেোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।
এ নিয়ে নগরীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২ জনে। যা জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। অথচ কদিন আগেই এই নগরী ছিল করোনামুক্ত নগরী। এদিকে রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন এনামুল হক জানান, নগরীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ জনে। তবে পবার চারজন আক্রান্ত ব্যক্তিও নগরীর বাসিন্দা। আরএমপি পুলিশের খাতায় তাদেরকেও নগরীর মধ্যেকার করোনা আক্রান্ত হিসেবে ধরা হয়। ফলে রাজশাহী নগরীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২ জনে।
আক্রান্ত হওয়া নগরীর দুই দু’জন হলেন, আহসান ২০ ও রুহুল আমিন ৪২। তাদের মধ্যে রুহুল আমিন নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। নগরীর কাজিহাটায় এলাকার আহসান রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের ছাত্র। তার বাবা একটি ক্লিনিকে কাজ করেন।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হওয়া অপর চাজনের মধ্যে একজন হলেন, নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। তার নাম শহীদুল্লাহ ৫৪। তিনি মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নগরীর কুমারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও করোনায় মারা যাওয়া বন কর্মকর্তা শফিউর রহমানের দুই ছেলে-মেয়ে বনানী খাতুন ১৭ ও আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম ২৪। তারা দুজন রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন। গত মঙ্গলবার শফিউর রহমান মারা যান। তিনি কক্সবাজারে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে গত ২৭ মে তিনি রাজশাহীতে আসেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুরে। তবে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর কুমারপাড়া এলাকায়।
এছাড়াও আজ করোনা আক্রান্ত হওয়া আরেক ব্যক্তি হলেন নগরীর হেতেম খাঁ এলাকার বাসিন্দা ও নওগাঁ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ সোহরাব ৫১ মিশন হাসপাতালে ভর্তি।
স/আর