রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কমিটি ছাড়া স্কুলের শিক্ষকরা বিপাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির মেয়দ শেষ হওয়ায় অনেক শিক্ষক-কর্মচারী বেতন বোনাস তুলতে পারছেন না। এনিয়ে চরম অনিশ্চায়তায় মধ্যে রয়েছেন শিক্ষকরা।তবে রাজশাহী শিক্ষবোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- সমস্যা হওয়ার কথা নয়। নোটিশ প্রস্তুত করা হয়েছিল।বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আপলোড দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আগামিকাল বুধবার (২০ মে) ব্যাংকগুলোর শেষ কর্মদিবস। তাই শিক্ষাবোর্ডের এমন উদাসীনতায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে অনেক শিক্ষকদের।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের করণে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে চলতি বছরের গত মার্চ মাস থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠন বন্ধ করে দেওয়া হয়।গত কয়েক মাসে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির মেয়দ শেষ হয়েছে। এতে করে বেতন ভাতা তুলতে পারছেনা অনেক শিক্ষক-কর্মচারীরা। এমন অবস্থা রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে।শিক্ষাবোর্ডটিতে কলেজ পর্যায়ে আগের কমিটির সভাপতির স্বাক্ষারে সব কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে এমন নির্দেশনা কথা বলা হয়। তবে স্কুল পর্যায়ের কোন নিদের্শনা আসেনি।এতে করে আসন্ন ঈদে অনেকটাই মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষকদের।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্কুল-কলেজের আগের সভাপতির স্বাক্ষরে বেতন-ভাতা উত্তোলনসহ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এনিয়ে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে শিক্ষাবোর্ডে ওয়েব সাইটে এ সংক্রান্ত কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি।নোটিশ প্রস্তুত করা হয়েছি। তবে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আপলোড দেওয়া সম্ভব হয়নি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে- ওই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করলে, কমিটি বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হবে।

তবে এবিষয়ে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহা. মোকবুল হোসেনের মুঠোফোনে কলা করা হলে তিনি রিসিভ করেনি।তাই এবিষয়ে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) রাজশাহী জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, এমন দুর্যোগময় সময়ে শিক্ষকরা যেনো বেতন-ভাতা পাই সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই লক্ষ্যে যা-যা করা লাগে করতে হবে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাবোর্ডের  চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবো।