রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দ্বাদশ শ্রেণির এক কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ মেলামেশার অভিযোগ ওঠেছে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। নিজের বিয়ের কথা গোপন রেখে গত দুই বছর ধরে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।

তবে মামলা না হওয়ায় ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম ব্যবহার করা হলো না।

এ ঘটনায় রোববার বিকাল ৬টার দিকে ওই শিক্ষার্থী নগরীর শিরোইল কলোনী এলাকায় প্রেমিক ছাত্রলীগ নেতা বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। এ সময় তিনি প্রকাশ্যে বলতে থাকেন, তার প্রেমিক তাকে বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।

প্রতারক প্রেমিক নগরীর চন্দ্রিমা থানাধিন শিরোইল কলোনী (৪ নং গলি) এলাকার বাসিন্দা ও মহানগর ছাত্রলীগের একটি পদে রয়েছেন।

শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানান, গত দুই বছর ধরে তার প্রেমিকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। গত শনিবারও নগরীর বোয়ালিয়া এলাকায় ওই যুবতির সঙ্গে মেলামেশা করেন ছাত্রলীগ নেতা

কিন্তু প্রেমিক যে বিবাহিত সে কথা গোপন রেখেই ওই ছাত্রীর সাথে দির্ঘদিন দিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু রবিবার তিনি জানতে পেরে প্রেমিক ছাত্রলীগ নেতাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন তিনি। তবে তাতে অস্বীকার করেন প্রেমিক। এরপর ওই যুবতি তার প্রেমিকের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন।

 

ওই ছাত্রলীগ নেতা গত চার বছর পূর্বে বিয়ে করেছেন। বাড়িতে তার স্ত্রী রয়েছে। কিন্তু যুবতিকে সে কথা কখনোই বলেননি তিনি।

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রেমিককে আটক করে চন্দ্রিমা থানায় নিয়ে যায়। সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীও যান মামলা করতে।

শিক্ষার্থীর বাবা জানায়, আমার মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে সারাফাত। মেয়ে যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই চূড়ান্ত।

পাশে মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রকি কুমার ঘোষ সিলসিটি নিউজকে বলেন ঘটনাটি আমি শুনেছি। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন।

জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুম মনির জানায়, শিক্ষার্থীর সঙ্গে সর্বশেষ যে এলাকায় মেলামেশা করেছে সেটা বোয়ালিয়া থানা এলাকা। তাই মামলা করলে বোয়ালিয়া থানায় যেতে হবে। ওসি বোয়ালিয়াকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি । এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীর মা-বাবা থানায় অবস্থান করছিলো। আর ছাত্রলীগ নেতা ছিলো থানা হাজতে।

স/আর