শোভাযাত্রায় আরএমপির নিষেধাজ্ঞা

রাজশাহী নগরীতে ৯২ মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এবার রাজশাহী মহানগরী এলাকায় পূজামন্ডপের সংখ্যা ৯২ টি। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা যথাযথ ধর্মীয় বাধ্যবাধকতায় আলোকে উদযাপন উপলক্ষে শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিনে প্রতিমা বিসর্জনের সময় গান বাজানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)।

এছাড়া পূজা শুরুর পর থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত মানতে হবে আরও কিছু জরুরি বিধিনিষেধ। এসব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থাও। শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানান।

পুলিশ কমিশনার মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আরএমপি’র পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং ইতোমধ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ পূজামন্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য নেতৃবৃন্দকে আহবান জানান।

পূজামন্ডপ গুলোতে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও নির্গমণ লাইন রাখার এবং পূজা মন্ডপে পুরুষ ও মহিলা আলাদা আলাদা স্বেচ্ছাসেবক রাখার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন। থানার অফিসার ইনচার্জদের পূজা কমিটির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন এবং ট্রাফিক বিভাগকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। যাতে করে দর্শনার্থীরা নির্ভিঘ্নে পূজামন্ডপ দর্শণ করতে পারে। প্রতিটি পূজামন্ডপ কমিটিকে সকল ধর্মের সমন্বয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটি গঠনের আহবান জানান।

এছাড়া প্রতিমা বিসর্জনকালে কোন ধরণের শোভাযাত্রা, মেলা কিংবা অন্য কোন অনুষ্ঠান, হাউজি কিংবা জুয়ার আসরের আয়োজন করা যাবে না। এমনকি সকল প্রকার অস্ত্র বহন, আতশবাজি, পটকা ফুটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য বহন, সংরক্ষণ, ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবহার এবং পূজা বিসর্জনের সময় উচ্চস্বরে মাইক বাজানো, গান বাজনা এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য ক্রয়/বিক্রয় করা থেকে বিরত থাকার জন্য বিধি নিষেধ রয়েছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) সুজায়েত ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) রশীদুল হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) সাজিদ হোসেন। এছাড়া আরএমপির ঊর্ধ্বতন পুলিশ কমকর্তাবৃন্দ, র‌্যাব-৫, ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের প্রতিনিধিসহ সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি তপন কুমার সেন ও পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সভাপতি অনিল কুমার সরকার বক্তব্য দেন।

স/অ