রাজশাহী নগরীতেই মিলছে সামুদ্রিক মাছের স্বাদ

জেসমিন আরা ফেরদৌস:

সামুদ্রিক মাছ বা সি ফুড! নাম শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে কক্সবাজার সিবিচের দৃশ্য। কিন্তু এখন রাজশাহীর পদ্মা গার্ডেনেই পাওয়া যাবে নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছ। রাজশাহীবাসীকে সামুদ্রিক মাছে স্বাদ উপভোগ করাতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন দুই তরুণ উদ্যোক্তা। আব্দুর রহমান এবং শুভ।

তরুন উদ্যোক্তা আব্দুর রহমান রাজশাহীর বালিয়াপুকুরের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে রাজশহী জিরো পয়েন্টে অবস্থিত র‍্যাম আইটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের সাবেক স্টুডেন্ট। এবং তার সহযোদ্ধা শুভ একটি এনজিওতে চাকুরি করেন। তার বাসা রাজশাহী নগরীর বড়কুঠি এলাকায়।

আব্দুর রহমান জানায়, এখানে প্রায় ১৩ ধরনের মাছ রয়েছে। তার মধ্যে স্কুইড, লইটা,রুপচাঁদা,লবস্টার,চিংড়ি,টোনা,স্যালমন, সুরমা,কালো রুপচাঁদা,মাইট্যা,কাকড়া ইত্যাদি। মাছ গুলো তাদের সাইজ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে।


তিনি আরো জানান, মাছগুলো কক্সবাজার ফিশারি ঘাট থেকে আনা হয়। ঘাটে জেলেদের কাছে থেকে মাছগুলো কিনে তারা বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করে নিয়ে আসেন রাজশাহীতে।

প্রতিদিন বিকাল ৩ঃ০০ টা থেকে রাত ১১ঃ০০ টা পর্যন্ত পাওয়া যাবে সি ফুড গুলো।সামুদ্রিক মাছগুলো কাঁচা এবং ফ্রাই বা বার্বিকিউ দুইভাবেই বিক্রি করছেন তারা।

ফ্রাই বা বার্বিকিউ করা প্রতিপিস রুপচাঁদা ৩০০ টাকা, চিংড়ি ৮০ টাকা,লবস্টার ৭০০ টাকা এবং কাঁকড়া ৭০ টাকা করে বিক্রি করছেন তারা।


জানা যায়, তাদের এই উদ্যোগে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন রাজশাহীবাসীর। প্রথমদিন ই তারা প্রায় ৫০ জন ক্রেতা পেয়েছেন। এবং প্রতিদিন ই এখানে সামুদ্রিক খাবার খেতে ভিড় জমাচ্ছেন কয়েক ডজন ভোজন রসিক।

স/রি