রাজশাহী নগরীতে ভবন নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণে লাগবে রাসিকের এনওসিসহ ফি


নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মহানগরী এলাকায় ভবন নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের আগে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) অনাপত্তিপত্র (এনওসি) গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে একটি উপ-আইন তৈরি করতে যাচ্ছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।

ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ইমারত/ভবন নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ নিয়ন্ত্রণ, ইমারত পরিদর্শন, অননুমোদিত নির্মাণ কাজ ভেঙ্গে ফেলা, এ সংক্রান্ত অপরাধ ও ফিস নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে নগর ভবনের সিটি হলসভা রুমে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

এসময় তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মহানগরীর সবচেয়ে বড় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১০ লাখ মানুষকে আমাদের সেবা প্রদান করতে হয়। একজন ব্যক্তির জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল সেবা প্রদান করতে হয়। মহানগরীতে যত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আছে, আমরা সবার সাথে সমন্বয় করে চলতে চাই। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুন্দর ও বাসযোগ্য মহানগরী গড়তে চাই। সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে প্রয়োজন পরিকল্পিত নগরায়ন। এজন্য ভবন/বাড়ি নির্মাণের পূর্বে আরডিএ এর পাশপাশি সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকেও অনাপত্তিপত্র গ্রহণ বাধ্যতামুলক করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মহানগরীতে বিগত সময়ে তেমন বহুতল ভবন ছিল না। গত ১০ বছর থেকে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হলে আরডিএ এর নিয়ম মেনেই করতে হবে। নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন তদারকি করবে।


সভায় অংশগ্রহণকারী বক্তারা বলেন, বাড়ি বা ভবন নির্মাণের পূর্বে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অনাপত্তিপত্র গ্রহণ বাধ্যতামুলক উপ-আইন প্রণয়ন একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমরা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। সিটি কর্পোরেশনের এই উদ্যোগ ও তদারকির ফলে নাগরিকরা বিল্ডিং কোড মেনে চলতে বাধ্য হবে। ফলে অনেক অগ্নি ও দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

সভায় বক্তব্য দেন, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতান আব্দুল হামিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ নজরুল ইসলাম, আরএমপির উপপুলিশ কমিশনার আব্দুর রকিব পিপিএম বক্তব্য দেন। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.এবিএম শরীফ উদ্দিন।

সভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন সচিব আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্লাহ।

সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন আরডিএর অথরাইজড অফিসার আবুল কালাম আজাদ, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুজ্জোহা, রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড ডেভলপার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কাজী, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর ফারুক আহম্মেদ, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ার হোসেন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ তৌহিদুল হক সুমন, নেসকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমীন, ওয়াসার ডিএমডি সোহেল রানা, বিটিসিএল এর ডিজিএম গোলাম মোর্শেদ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের এ্যাডিশনাল জিএম অজয় কুমার পোদ্দার, এলজিইডি‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মোজাহার আলী প্রামাণিক, পরিচালক স্বাস্থ্য রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডাঃ আনোয়ারুল কবির, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম শামীম আহম্মেদ ও র‌্যাব-৫ এর সিনিয়র এএসপি শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, জাতীয় গৃহায়ণ কতৃপক্ষের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম মাহবুবুল হক পাভেল, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়রুল আমিন আযব, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আশরাফুল হাসান (বাচ্চু), জোন-২ এর কাউন্সিলর আয়েশা খাতুন, মাননীয় মেয়রের একান্ত সচিব মোঃ আলমগীর কবির, প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ-সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম খান, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা নিজামুল হোদা প্রমুখ।

স/অ