রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন : নৌকার টিকেট পেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল

বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। পুরনো ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার টিকেট পেয়েছেন দলটির রাজশাহী মহানগরীর সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা শেষে প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মীর ইকবাল নিজেও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সন্তান। আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা ১৬ বছর রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও ২০০৪ সাল থেকে তিনি এখন অদ্যাবধি দলটির রাজশাহী মহানগরীর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নৌকার টিকেট পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বলেন, ‘সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে গেছি। জীবনের শেষ সময়ে এসে নির্বাচনে অংশ নিতে চাচ্ছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আশা করি রাজনৈতিক সহকর্মীরা সহযোগিতা এবং ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান দেবে।’

রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, ‘রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১৮৫ জন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার। তাদের ভোটে রাজশাহীতে একজন চেয়ারম্যান ও ১২ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। এর মধ্যে তিনজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। সে বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম মাহবুব জামান ভুলু। তবে আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান প্রশাসক মোহাম্মদ আলী সরকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তিনিসহ এবার ১০ জন আওয়ামী লীগ নেতা দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করেন। যাদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল নৌকার টিকেট পেলেন।

রাজশাহী জেলা ছাড়াও এই বিভাগের অন্য সাত জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জে রুহুল আমিন, নাটোরে সাজেদুর রহমান খাঁন, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, বগুড়ায় মকবুল হোসেন, জয়পুরহাটে খাজা সামছুল আলম, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও পাবনায় আ.স.ম. আব্দুর রহিম পাকন।

এএইচ/এস