রাজশাহী চিনিকলে কৃষকের পাওনা দাড়িয়েছে সাড়ে ৫ কোটি, আখ চাষে অনাগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী চিনি কল কর্তৃপক্ষের কাছে রাজশাহীর পুঠিয়া সাবজোনসহ মোট ৯ সাবজোনে কৃষকের পাওনা রয়েছে পাঁচ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে পুঠিয়া সাবজোনের আখ চাষিরা পাবেন ৮৫ লাখ টাকা। এই টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব কৃষকরা, আগ্রহ হারাচ্ছেন আখ চাষে।

এদিকে, ১ ডিসেম্বর রাজশাহী চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু হয়। আখের অভাবে এর পরদিন (২২ ডিসেম্বর) চিনিকলটি বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে, ১১ ডিসেম্বর থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত আখের মূল্য পরিশোধ করে কর্তৃপক্ষ। এ সময়ের মধ্যে মিল কৃষকের কাছে পাওনা ঋণের টাকা প্রতি বিল থেকে ৮০ শতাংশ কেটে নেয়। ফলে কৃষককে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ মেটাতে পকেট থেকে নগদ টাকা গুনতে হয়। বর্তমানে আখ চাষি তাদের পাওনা টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে অর্থ পেতে দেরি হওয়ায় ক্ষোভে আখ ভেঙে জমিতে গম ও ভুট্টা চাষ করেছেন।

পুঠিয়া সাবজোন আখ চাষি সমিতির সভাপতি ও আখচাষি কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা সাজেদুর রহমান জানান, রাজশাহীর একমাত্র ভারী শিল্প রাজশাহী চিনিকল টিকিয়ে রাখতে আখ চাষের বিকল্প নেই। আখের মূল্য মণ প্রতি ২৫০ টাকা নির্ধারণ করে এবং সময়মত অর্থ পেলে কৃষক আখ চাষের ফিরে আসবে।

পুঠিয়া সাবজোনের ডেপুটি ম্যানেজার শাহীন আহমেদ জানান, পুঠিয়া সাবজোনে তিন শতাধিক কৃষকের পাওনা ৮৫ লাখ টাকা রয়েছে। সঠিক সময় পাওনা টাকা না পেয়ে নতুনভাবে আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক।

এবিষয়ে রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার জানান, শুনেছি পাওনা টাকা না পেয়ে কিছু কৃষক মুড়ি আখ (মূল আখ কাটার পর ভূগর্ভস্থ মূল আখের গোড়া) ভেঙে ফেলেছে। চিনি কলের অধিন ৯টি সাবজোনে আখ চাষির পাঁচ কোটি ৬৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। পাওনা টাকা দ্রুত পরিশোধে সরকারি প্রচেষ্টা চলছে। অতি শিগগিরই আখ চাষি তাদের পাওনা পাবেন।

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সভাপতি আরিফুর রহমান অপুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে ফোন পাওয়া যায়নি।

জি/আর