রাজশাহী কারাগারের আরও ১২৯ কয়েদিকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের আরও ১২৯ কয়েদিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সরকার। শুক্রবার দুপুরে কারা কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশ পেয়েছে। এর আগে গত শনি ও রোববার দুই দফায় ৯৮ বন্দীকে মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, তৃতীয় ধাপে ১২৯ কয়েদিকে মুক্তি দিতে দুপুরেই নির্দেশনা পেয়েছি। যাদের জরিমানা নেই তাদের সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়া হবে। আর আগের ৯৮ বন্দীর অনেকেই চলে গেছেন, কেউ কেউ জরিমানা পরিশোধ না হওয়ায় আটকে আছেন।

তিনি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধে কারাগারগুলোতে ভিড় কমাতে সরকার লঘু অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ রকম বন্দিদের তালিকা কিছু দিন আগে কারা অধিদপ্তর সারাদেশের কারাগারগুলো থেকে নিয়েছিল। তালিকা পাওয়ার পর সারাদেশ থেকেই বন্দী মুক্তি দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, তিন ধাপে কয়েদিদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত আছে। সে অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৩৩, দ্বিতীয় ধাপে ৬৫ এবং তৃতীয় ধাপে ১২৯ জনকে মুক্তির নির্দেশনা তিনি পেয়েছেন। এই ২২৭ জনের বাইরে আর কাউকে মুক্তি দেয়া হবে কি না সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ এক বছর, কিন্তু ছয়মাস বা তারও বেশি সাজা খেটেছেন এ রকম কয়েদিদেরই সাধারণ ক্ষমায় সাজা মওকুফ করা হয়েছে। যারা মুক্তি পাচ্ছেন তাদের এ মামলায় আর কারাগারে যাওয়া লাগবে না। সাজা একেবারেই মওকুফ করে দেয়া হয়েছে। তবে কারাদণ্ডের সঙ্গে যদি কারও অর্থদণ্ডও থেকে থাকে তাহলে তাকে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতেই হবে। স্বজনরা জরিমানা পরিশোধ না করলে সাধারণ ক্ষমা পেয়েও বন্দীর মুক্তি মিলবে না।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৪৫০ জন। কিন্তু উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ এই কারাগারে হাজতি এবং কয়েদি মিলিয়ে বন্দী থাকেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার। গাদাগাদি করে কারাগারে থাকতে হয় বন্দিদের। এতে এখানে বন্দিদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।

স/আর