রাজশাহীর বাগমারা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

বাগমারা রাজশাহী (প্রতিনিধি):

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের পারিলা গ্রামে ছাগলের জন্য পাতা কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। যুবকের নাম বাবুল হোসেন (৩৬) সে পারিলা গ্রামের মৃত: আ: ছাত্তারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৫সেপ্টেম্বর) সকালে নিত্যদিনের মত বাবুল হোসেন সকালের খাবার খেয়ে তার ব্যাটারী চালিত ভ্যান গাড়ি নিয়ে ভাড়ার জন্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বেলা ২ টার দিকে দুপুরের খাবারের জন্য বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার ধারে দেখতে পায় একই গ্রামের মজিবর রহমানের একটি মেহগিনির গাছ প্রতিবেশী এক কাঠ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম কিনে নিয়ে কাটছে।

বাবুল হোসেন বাড়িতে গিয়ে তার ভ্যান গাড়ি রেখে ছাগলের জন্য পাতা সংগ্রহ করতে গাছতলায় যায়। গাছটি ছিল বিদ্যুতের মেইন লাইনের মাত্র ২/৩ ফুট দুরে ঝুঁকিপূর্ন অবস্থানে।

এতো কিছু চিন্তা না করেই বাবুল হোসেন গাছে উঠে যায় পাতা সংগ্রহের জন্য। কয়েটি ডাল-পালা কাটার পরে বাবুল দেখতে পায় একটি কাটা ডাল বিদ্যুতের মেইন লাইনে ঝুলে আছে। বাবুলের হাতে থাকা হাসুয়া দ্বারা ঐ কাটা ডালটি নামাতে গেলে তাৎক্ষনিক বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বাবুল হোসেন।

শব্দ শুনে আসেপাশের লোকজন ছুটে আসে কিন্তু চোখের সামনে অনেকেই মরতে দেখেছে বাবুলকে। এক সময় গাছ থেকে পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এক মাত্র উপার্জন ক্ষম বাবুলের মৃত্যুতে তার বাড়ি সহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মা, ছয় বছরের মেয়ে, এবং অন্ত:স্বত্তা এক স্ত্রী রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় ইউপি: চেয়ারম্যান মতিউর রহমান (মতিন) বলেন, আমি ব্যস্ততার কারনে ঘটনা স্থলে যেতে পারিনি তবে দুই জন গ্রামপুলিশ পরিদর্শনে পাঠিয়েছি।

হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম এবং বাগমারা থানা পুলিশ কর্মকর্তা ওসি মোস্তাক আহমেদ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন এটি একটি অপমৃত্যু, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়ায় দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা করা হবে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পল্লীবিদ্যুতের কোন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি।

 

স/আর