রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তে মাদক কারবারি বেড়েছে, পুলিশের যোগসাজসের অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রতিদিন হাজার হাজার পিস ইয়াবা ভারত থেকে দেশে আসছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্ত দিয়ে। অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনী অভিযান চালালেও মাদক রুখতে অভিযানে পিছিয়ে পড়েছে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এমনকি স্থানীয় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা বলছেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম থানায় যোগ দেওয়ার পর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান ঝিমিয়ে পড়েছে। এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছেন পুলিশ সদস্যরা বলে অভিযোগ তাদের। এ কারণে থানার চারপাশের এলাকাতেই চলছে রমরমা মাদকের ব্যবসা।

জানা গেছে, থানা থেকে মাত্র এক-দুই কিলোমিটার দুরের মহল্লাগুলোর নাম মাদারপুর, মহিষালবাড়ি, সুলতানগঞ্জ ও ডিমভাঙা। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব এলাকা থেকেই সবচেয়ে বেশি হেরোইন উদ্ধার করে থাকে। এসব এলাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানের মাদকব্যবসায়ীসহ অনেক মানুষ গ্রেপ্তারও হন হেরোইনসহ। প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত থেকে মাদক এসব এলাকায় প্রবেশ করে। পরে এই এলাকা থেকেই সারাদেশে পাচার হয় কেজি কেজি হেরোইন। অথচ এ এলাকার মাদক চোরাচালান ঠেকাতে তেমন সফলতা নেই থানা পুলিশের।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিষালবাড়ি মাদ্রাসার এক শিক্ষক বলেন, ‘এই এলাকায় যেখানেই হাত বাড়াবেন, সেখানেই হেরোইন পাবেন। মাদ্রাসার আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি আছে। তাদের পরিবারের সবার নামে মাদক মামলা আছে। তারপরও এদের হেরোইন ব্যবসা থামে না। কিছু বলতেও পারি না। বলতে গেলে এরাই আবার হেরোইন দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এদের সাথে পুলিশের খুব ভাব।’

মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের সুসম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপÍ কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মাদক ছাড়াও আরও অনেক কাজ করতে হয়। এর পাশাপাশি মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এই মাসেই চারটি অভিযান চালিয়ে আমরা হেরোইন উদ্ধার করেছি। এসব অভিযানে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

স/আর