রাজশাহীতে স্কুল বন্ধ, কোচিং খোলা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আমি অফিস স্টাফ রঞ্জন বলছি। ‘লিটন ম্যাথ কেয়ার’ থেকে। লিটন স্যার তো ক্লাসে আছেন। আপনি রাত ৮টার পরে ফোন দেন। আমি উনাকে (লিটন) বলবো আপনি ফোন দিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘লিটন ম্যাথ কেয়ারের’ নম্বরে ফোন দিলে এসব কথা বলেন রঞ্জন। ‘লিটন ম্যাথ কেয়ারের’ রাজশাহী নগরীর সাহেববাজারের করোতয়া কুয়ায়ার সার্ভিসের বিল্ডিংয়ে। এটিতে সকাল আট থেকে চলে রাত আটটা পর্যন্ত। তবে রাত আটটায় পর্যন্ত কোচিংয়ে ক্লাস চলে তার প্রমান মিলেছে।

‘লিটন ম্যাথ কেয়ার’ই নয়, গোল্ড স্টার প্রাইভেট, আইসিটি কেয়ার, বাংলা বিদ্যাপিটসহ রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ঘিরে অলি-গলিতে গড়ে উঠেছে প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার। এই সব কোচিংগুলোর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ছাড়াও অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে পরিচালনা করছেন। নগরীর সাহেবাজার, নিউ মার্কেট, উপশহর এলাকার অলি-গলিতে গড়ে উঠেছে এসব কোচিংগুলো।

জানা গেছে, করোনার সংক্রম রোধে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ বহল রেখেছে সরকার। এমনকি বন্ধ রয়েছে সবধরনের পরীক্ষাও। এমন অবস্থায় সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে হরহামেশায় চলানো হচ্ছে কোচিং বাণিজ্য। কোচিংগুলোতে গাদাগাদি করে বসতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের মুখে নেই স্বাস্থ্যবিধির প্রধান উপকরণ মাস্ক। আর কোচিংবাজ শিক্ষকরা সরকারের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে নিজ স্বাধীন মতো চালাচ্ছেন কোচিং।

শিক্ষাবীদ রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান বলেন, স্কুল বন্ধ, কোচিং খোলা। প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীরা কোচিং পড়ে। তাহলে স্কুল বন্ধ রেখে লাভ কি হলো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা আওয়তায় আসার প্রক্রীয়া চলছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকারের নির্দেশনা সবাইকে মানতে হবে। কোচিং পরিচালনার ফলে জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিঘ্ননিত হচ্ছে। তাই কোচিং-প্রাইভেট যারা চলাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মাউশি, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় প্রশাসক ও স্থানীয় থানা পুলিশকে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।