এর আগে সকালে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গভর্ণমেন্ট ল্যাবরেটরী হাইস্কুলে মিলনায়তন প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। পরে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) টুকটুক তালুকদার রাজশাহী বলেন, বহুকাল হতে সমবায় ধারণা বিস্তৃত। সংবিধানের ১৩(খ) অনুচ্ছেদে সমবায় মালিকানার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের ন্যায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে সমবায় গড়ে তুলতে হবে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সমবায়ের কোনো বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সরোয়ার জাহান বলেন, ৫টি লাঠি এক এক অতি সহজেই ভাঙ্গা যায় কিন্তু লাঠিগুলো একত্রে থাকলে তা সহজে ভাঙ্গা যায় না। সমবায় হলো একটি প্লাটফর্ম যা সবাইকে একত্রিত করতে পারে এবং কেবল একত্রিত থাকলেই দেশ তথা অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে সমবায় বিভাগ রাজশাহীর যুগ্মনিবন্ধক মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ১৯০৪ সাল হতে অদ্যবধি সমবায় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশে ৩৫ ক্যাটাগরির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সমবায় সমিতি রয়েছে। বর্তমানে সমবায়ে দৈনিক সঞ্চয় প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। সমবায় থেকে শুধু ঋণ গ্রহণ করে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। সবাই শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আগ্রহী করতে হবে। সবাইকে প্রকৃত সমবায়ী হতে হবে। সমবায়ে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে ‘জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০২৩’ এর জন্য রাজশাহীর বিভাগীয় বাছাই কমিটি কর্তৃক মনোনীত মোঃ মিজানুর রহমান, সভাপতি, উত্তরণ সেভিংস এ্যান্ড ক্রেডিট অপারেটিভ সোসাইটি লি. বোয়ালিয়া, রাজশাহীকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন পরিদর্শক সুব্রত কুমার রায়, সহকারী পরিদর্শক বিউটি রানী সাহা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সমবায় বিভাগের উপনিবন্ধক মোছাঃ শাহানা শিল্পী, জেলা সমবায় অফিসার মো. আকরাম হোসেন, মেট্রোপলিটন থানা সমবায় অফিসার, বোয়ালিয়া মোছাঃ নাছিমা খাতুন এবং অবসরপ্রাপ্ত সমবায় কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা ও সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও সমবায়ী সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।