রাজশাহীতে মাঝারি গরুতে জমেছে কেনা-বেচা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বুধবার ঈদ। মাঝে বাকি একদিন। শেষ সময়ে জমেছে রাজশাহীর পশুহাটগুলো। সোমবার (১৯ জুলাই) রাজশাহীতে সিটি, নওহাটা ও কাটাখালীর হরিয়ানে বসে পশুহাট। হাটে পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতায় ছিলো পরিপূর্ণ। তবে বরাবরের মতো চাহিদা বেশি ছিলো মাঝরি আকারের গরুর। বড় গরুর চেয়ে তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি হয়েছে মাঝারি আকারের গরু।

এদিন হাট ঘুরে দেখা গেছে, সিটিহাট ছাড়া হরিয়ান ও নওহাটায় গরুর পাশাপশি উঠে ছাগলও। ছাগলগুলো হাটের এক পাশে কেনা-বেচা হয়েছে। এই হাট দুটি পৌরসভায় হওয়ায় বাড়িতে পালন করা ছাগলই বেশি ছিলো। হাটে পোষা ছাগল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে মালিকদের। জেলা ছাড়াও দূরদূরান্তের ক্রেতা এসেছেন।

গরু-ছাগল বিক্রেতা আমজাদ হোসেন জানান, ‘হারিয়ানে এবছর প্রথম পশুহাট বসেছে। ঈদ বুধবার, তাই আজ শেষ হাট। হাটে গরু-ছাগল ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তবে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। সেগুলো বিক্রিও বেশি হয়েছে। একটা গরু ও দুইটা ছাগল এনেছিলাম। একটা ছাগল বিক্রি হয়নি, কোরবানির উপযুক্ত নয়। তাই দাম বলছে না তেমন কেউ।’

ক্রেতা মানিক ইসলাম জানান, ‘গরুর দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। তিন চারটা গরুর দাম করেছি। এর মধ্যে একটা বেশি পছন্দ হয়েছে। কোরবানির ভাগিরা বলছে ওই গরুটাই কিনতে।’

ছাগল বিক্রেতা রবিউল ইসলাম জানান, ‘বাড়িতে ২১ হাজার টাকা দাম বলেছিলো দেয়নি। হাটে ২০ হাজার টাকার বেশি দাম বলছে না। হাটে তুলনামূলক বেশি ছাগল রয়েছে।’

সিটি পশুহাটে উঠেছিলো প্রচুর কোরবানির গরু। ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর ছিলো পশুহাটটি। এদিন হাটবার না হলেও বেচা-কেনা জমেছিলো। ইদের বেশি দিন না থাকায় হাটে আসা বেশিরভাগ মানুষ কিনে নিয়ে গেছেন কোরবানির পশু।

হাটে মাঝারি আকারের একটি গরু কিনেছেন রাজন নামের এক ক্রেতা। তিনি জানান, অল্প টাকার মধ্যে কোরবানির ভাগ দিলে মাঝারি গরুই কিনতে হয়। সবাই মোটামুটি চাকরিজীবী। অফিস ছুটি হয়েছে, বাড়িতেই থাকছি। মাঝখানে ইদের একদিন আছে। সবাই মিলে যতœ নেব। তিনি জানান, তুলনামূলক মাঝারি আকারের গরুর দাম বেশি হাটে।’

ইজারাদার তফিকুল ইসলাম জানান, হাটে কোরবানির পশু মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে।

স/আ