বুধবার , ১৯ জুন ২০২৪ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহীতে ফেসবুক লাইভে কষ্টের কথা জানিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

Paris
জুন ১৯, ২০২৪ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে কষ্টের কথা জানিয়ে রহিমা আক্তার রেমি (২৪) নামে এক গৃহবধূ ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহীর চারঘাট পৌর শহরের হলের মোড় এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

রহিমার স্বামী সায়েম ইসলাম ওরফে সাগর একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তারা পুঠিয়া উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। চারঘাট পৌর এলাকার ওই বাসায় তারা ভাড়া বাসায় থাকতেন। আত্মহত্যার সময় তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন।

জানা গেছে, ঈদের দিন স্বামীর সঙ্গে বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন রহিমা। ভালো লাগছিল না বলে স্বামী-সন্তানকে রেখে তিনি একাই ভাড়া বাসায় চলে আসেন এবং ভোররাতে আত্মহত্যা করেন।

চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রহিমা আক্তারের বাবার সঙ্গে তার মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। এতে রহিমা আক্তার একা হয়ে পড়েছিলেন। এ নিয়ে তিনি বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। আগেও বেশ কয়েকবার তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ভোরে ফেসবুক লাইভে আসেন ওই গৃহবধূ। এ সময় তিনি তার দুঃখের কথাগুলো বলেন। মা-বাবাকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন।

ফেসবুক লাইভে স্বামীর উদ্দেশে ওই নারী বলেন, ‘তুমি সন্তানের বাবা-মায়ের দায়িত্ব পালন করবে। আমি তোমাদের দুজনকে খুব ভালোবাসি। তোমার যখন চাকরি ছিল না, বেকার ছিলে, তখন আমি তোমাকে ছেড়ে যাইনি। এখন তোমার চাকরি হয়েছে। যে নতুন জীবনসঙ্গী হবে তাকে সময় দিও।’

রেমি তার পোস্ট করা ভিডিওতে বলেন, আমি একটি বই লিখতে শুরু করেছিলাম। বইয়ের নাম রাখতে চেয়েছিলাম সুইসাইড। বই লেখা শেষ না করতেই আমি নিজেই সুইসাইড হয়ে গেলাম। বাবা-মা খারাপ হলে কিন্তু সন্তানরা খারাপ হয় না। এসব কথা শুনতে শুনতে বোর হয়ে গেছি। জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিতে চাই।

লাইভ শেষে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন রহিমা। সকালে পুলিশ পাঠিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তার পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে রেমির বাবা লিখিতভাবে পুলিশকে জানায়, ঈদের দিন আমার মেয়ে ও জামাই আমার বাড়িতে এসে খাওয়া-দাওয়া করে দুপুরের পর বাড়ি ফিরে যায়। এরপর আমি শুনতে পাই আমার মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পারিবারিক মনোমালিন্য হয়। পরে আমার জামাই ও মেয়ে চারঘাট ভাড়া বাসায় চলে যায়। মঙ্গলবার ভোরবেলা আমার জামাই আমার ছেলের কাছে ফোন দিয়ে ওই খবর দেয়।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর