রাজশাহীতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা শব্দদূষণ কমাতে জনসচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বারোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’- এর আওতায় শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মিলনায়তনে এটির আয়োজন করা হয়। এতে পরিবহন চালক, শ্রমিক এবং সাংবাদিকরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবির। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে শব্দদূষণ ঠেকানো যাবে না। এর জন্য জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। একজন পথচারী যত্রতত্র রাস্তা পারাপারের জন্য চালক গাড়ির হর্ন দিতে বাধ্য হন। আবার কোন কোন চালক অযথাই হর্ন দিতে থাকেন। এসব হর্নের কারণে শারীরীক ও মানসিক যে ক্ষতি হয় মানুষের, তা সবাইকে বোঝাতে হবে। জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।

তাঁরা আরও বলেন, শব্দদূষণের করণে আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি এটির কারণে আমাদের আনেককে চিরতরে বধির করে দিতে পারে। তাই আমাদের উচিত অযথা হর্ন পরিহার করা। আর এ জন্য হাইড্রোলিক হর্নের বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালানোর বিষয়েও তাগিদ দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, হাইড্রোলিক হর্ন খুলতে খুলতে ট্রাফিক পুলিশের নাভিশ্বাস উঠছে। তাই প্রথমে এগুলোর বিক্রেতাদের সতর্ক করতে হবে। তারপরও বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাতে হবে।

কর্মশালায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকাকে সিটি করপোরেশন ‘নীরব’ এলাকা ঘোষণা করেছে। পর্যায়ক্রমে শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ অফিস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এলাকাগুলোকে ‘নীরব’ এলাকা ঘোষণা করা হবে। ওই সব এলাকায় কেউ হর্ন বাজাতে পারবে না।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হুমায়ুন কবির, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. নওশাদ আলী, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ শওকত আলী খান ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।

এএইচএস