নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মহানগরীতে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার কর্ণহার থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গত শনিবার (২৯ জানুয়ারি) জেলার তানোর থানার জুড়ানপুর এলাকা থেকে ছিনতাইকারী দিপ্তকে ও পবা থানার বসন্তপুর এলাকা থেকে সাগরকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার পবা থানার দুয়ারী গ্রামের মো. মানিক মিয়ার ছেলে মো. নাইমুর রহমান দিপ্ত (২৬) ও কর্ণহার থানার ধর্মহাটা (মধ্যপাড়া) গ্রামের মো. মোস্তাকিম আলীর ছেলে আহম্মেদ আলী সাগর (২১)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- মো. রনি ইসলাম (২৮) নামের এক ব্যক্তি গত শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কর্ণহার থানার রাধানগর দারুসা বাজারে যায়। এসময় তার পিছন দিক থেকে আসা মোটর সাইকেলে তিনজন আরোহী রনির হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। ওই সময় রনির আত্মচিৎকার শুনে দারুসা বাজারে থাকা কর্ণহার থানার টহল পুলিশ আসামিদের মোটরসাইকেলসহ আটক করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আসামিরা মোটরসাইকেল ফেলে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। থানা পুলিশ মোটরসাইকেলটি জব্দ করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা বিভাগ) মো. মনিরুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে কর্ণহার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে এসআই মো. নাদিম উদ্দিন ও তার টিম কর্ণহার থানা পুলিশ ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার অভিযানে নামে। পরবর্তীতে গত শনিবার (২৯ জানুয়ারি) মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দেয়া তথ্যে আসামিদের অবস্থান সনাক্ত করে। এরপর অভিযান পরিচালনা করে তানোর থানা পুলিশের সহায়তায় তানোর থানার জুড়ানপুর এলাকা থেকে ছিনতাইকারী দিপ্তকে গ্রেফতার করে এবং রনির ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকার করে। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পবা থানা পুলিশের সহায়তায় পবা থানার বসন্তপুর এলাকা হতে আসামী সাগরকে গ্রেফতার করে। অপর আসামীকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এএইচ/এস
