বিদ্যালয়ে ধূমপান-মারামারির অভিযোগে রাজশাহীতে ৬ স্কুলছাত্র ‘ক্লাস সাসপেন্ড’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর সনামধন্য সরকারি কলিজিয়েট স্কুলের অভ্যন্তরে ধূমপান, মারামারি, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ও স্কুলের শৃক্সক্ষলা ভঙ্গের অভিযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ছয় ছাত্রকে তিন মাসের জন্য ক্লাসে নিষিদ্ধ (ক্লাস সাসপেন্ড) ঘোষণা করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার (১০ আগস্ট) স্কুলের প্রধান শিক্ষক এক নোটিশের মাধ্যমে ক্লাসে তাদেরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছয়জন ছাত্রকে নোটিশের তারিখ থেকে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ক্লাস সাসপেন্ড করা হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে তারা স্কুলে আসতে বা ক্লাস করতে পারবে না। একই সঙ্গে এই ধরনের বিশৃক্সক্ষল ঘটনা থেকে বিরত থাকার জন্য স্কুলের অন্য ছাত্রদেরও ওই নোটিশে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র-শিক্ষক এবং অভিভাবকদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতর ধূমপান, মারামারি, অশ্লীল ভাষায় গালি দেওয়া ও বিদ্যালয়ের শৃক্সক্ষলাভঙ্গের কারণে নিম্নলিখিত ছয় ছাত্রকে আগামী ২৭ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হলো। একই সঙ্গে বিদ্যালয়ের অন্য সব ছাত্রকে সতর্ক করা হলো। নোটিশে ওই ছয় স্কুলছাত্রের নাম, শ্রেণি, শাখা ও রোল নম্বর এবং তার পাশে সাসপেন্ড করার কারণ সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর মধ্যে নবম শ্রেণির ‘ঘ’ শাখা ও সপ্তম শ্রেণির ‘গ’ শাখার দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধূমপান করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণির ‘ঘ’ শাখার একজন এবং চতুর্থ শ্রেণির ‘গ’ শাখার তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মারামারি এবং অশ্লীল ভাষায় গালি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।

নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. মোসা. নূর জাহান বেগম বলেন, ‘এই স্কুলটি সারাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০০ বছরের পুরেনো এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব অর্জন, ঐশ্বর্য্য ও ঐতিহ্যকে সযত্নে লালন করে আসছে। এই অবস্থায় কয়েকজন উচ্ছৃক্সক্ষল ছাত্রের জন্য স্কুলের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে বা শৃক্সক্ষলা নষ্ট হবে তা মেনে নেওয়া যায় না। স্কুলের ভুক্তভোগী অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাই বিশৃক্সক্ষলার শুরুতেই ওই ছয় ছাত্রের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্কুলের পাঠদানের সুষ্ঠু পরিবেশ ও শান্তি-শৃক্সক্ষলা রক্ষার স্বার্থে বাকি ছাত্রদেরকেও এই ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’

সাসপেন্ড থাকার সময়ে কোনো পরীক্ষা আছে কী-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘এরমধ্যে এসএসসি পরীক্ষা ও পুজোর জন্য এক মাস স্কুল বন্ধই থাকবে। তাই ওই ছাত্রদের পরীক্ষা নিয়ে কোনো অংশগ্রহণে কোনো সমস্যা হবে না। এটি প্রতীকী শাস্তি হিসেবে অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত। স্কুলের শৃক্সক্ষলা রক্ষায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

জি/আর