রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলায় শিক্ষক কারাগারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকায় শোকজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


বিয়ে প্রলোভনে নারীকে ধর্ষণ করা মামলায় জেলহাজতে থাকা লেকচারার আতিয়ার রহমান মুকুলকে বদলির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। মুকুল রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলফ টেকনোলজির (আইএইচটি) লেকচারার। আজ মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আইএইচটির প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন থেকে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে লেকচারার মুকুলকে বদলির দাবি জানান।

এসময় শিক্ষার্থীরা জানান- আইএইচটি একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে কোন খারাপ চরিত্রের শিক্ষকের ঢাই নেই। দ্রুত ওই শিক্ষককে বদলির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এবিষয়ে আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হক জানান, ‘আমি অফিসে এসে বিষয়টি শুনেছি। তবে এনিয়ে মানববন্ধনের কোন প্রয়োজন ছিলো না। তিনি যেহেতু চাকরি করেন, তার বিরুদ্ধে চাকির বিধান মোতাবেক ব্যবস্থাগ্রহণ করে উদ্ধতণ কর্তৃপক্ষ।

মামলা সূত্রে জানান গেছে-  ৩িন মাস আগে ঘটকের মাধ্যমে ভিক্টিমকে দেখতে যান অভিযুক্ত। পরে অভিযুক্ত মুকুলের ভাবিকে দিয়ে ভিক্টিমের মোবাইল ফোন নাম্বরটি নেন। পরে ম্যাসেঞ্জার ও ইমুতে তারা কথা বলে। এতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এনিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর (২০২০) ভিক্টিমকে বিয়ের প্রলোভনে নাটোর গোপালপুরে ওই নারীর এক দুরসম্পর্কের আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে মুকুল ওই নারীর মধ্যে শারিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর পরে ওই নারী বিয়ের দাবি করেন। তবে শিক্ষক কালক্ষেপন করেন। পরে ভিক্টিমের আত্মীয়-স্বজনরা মুকুলকে আটকে রেখে পুলিশে জানালে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। এনিয়ে ঘটনার পরেরদিন ৩১ ডিসেম্বর বাঘা থানায় মামলা (মামলা নম্বর-৯) হয়েছে।

আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হক আরও জানান, শিক্ষক মুকুল গত ১২ ডিসেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত। তাই তাকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি কেনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হননি, তার জবাব দেবেন।’

স/আ