রাজশাহীতে ঝড়ের সময় উদ্ধার শিশুকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর


নিজস্ব প্রতিবেদক:

গত রবিবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টা। রাজশাহীতে মসুলধারে বৃষ্টি হচ্ছিলো। সেই সাথে ছিল বাতাসও। হঠাৎ রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকার বালিয়া মোড়ে সাত বছরের এক শিশু একা একা বৃষ্টির মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। তখন থানার টহল পুলিশের নজরে পড়ে শিশুটি। উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়। পরে রাজশাহী মহানগরী ও জেলার সকল থানায় শিশুটি হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়। অবশেষে রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম সূর্য চন্দ্র (৭)। সে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হাটপাড়া এলাকার দেওপাড়া ইউনিয়নের সাকুরা গ্রামের সরেন চন্দ্র ও উষা রাণীর ছেলে

রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, বালিয়া মোড়ে রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে টহলরত পুলিশ সদস্যরা একটি ছেলে শিশুকে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে পানিতে ভিজতে দেখে। এ সময় সেই শিশুটিকে রাতের বেলা বৃষ্টিতে ভেজার কারণ জানতে চান এবং তার বাড়িতে ফিরে যেতে বলেন কিন্তু ওই শিশুটি জানায় সে বাড়ির রাস্তা ভুলে গেছে। ফলে বৃষ্টিভেজা শিশুটিকে তাৎক্ষণিকভাবে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি জানায়, তার নাম সূর্য চন্দ্র। এছাড়া শিশুটিকে তার পরিবার সম্পর্কে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে আর কিছু বলতে পারেনি। পরে রাজশাহী মহানগরীসহ রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে এই নিখোঁজ শিশুর খবর পাঠানো হয়। পরে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ খোঁজ-খবর নিয়ে নিখোঁজ শিশুর পরিবারের সন্ধান পায়। পরে পুলিশের সঙ্গে শিশুটির বাবা-মা রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় এসে বাড়িতে নিয়ে যায়।

শিশুটির পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, ‘শিশুটির পরিবার আদিবাসী (ওঁরাও) সম্প্রদায়ের। খুব গরীব পরিবার। রবিবার সকালে শিশুটির বাবা-মা পড়ালেখার জন্য নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার বিদ্যানিকেতন স্কুলে ভর্তি করিয়ে সেখানে রেখে যায়। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শিশুটি সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে ওই এলাকায় আসে। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে।’

এস/আই