রাজশাহীতে কোরবানির সংগ্রহ করা মাংসের বাজার চড়া

এই করোনাকালেও প্রতি বছরের মতো রাজশাহীতে কোরবানির সংগ্রহ করা মাংসের বাজার বসেছে। তবে দাম চড়া। যারা কোরবানি দিতে পারেননি তারা ভিড় করছেন মহানগরের ভাসমান এই কোরবানির মাংসের বাজারে।

শনিবার বিকেলে ভাসমান বাজারে দেখা যায় কোরবানির সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায়।

প্রতি বছরই কোরবানি শেষে বিকেল হলেই কোরবানির সংগ্রহ করা মাংসের বাজার বসে। মহানগরের বিভিন্ন স্থান থেকে ভিক্ষুক ও খেটে খাওয়া মানুষ বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মাংস সংগ্রহ করে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন এই বাজারে।

শহর ঘুরে দেখা যায় রেলওয়ে স্টেশন, শিরোইল বাস টার্মিনাল, শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর, দড়িখড়বোনা মোড়, লক্ষ্মীপুর, হড়গ্রাম, সরকারি মহিলা কলেজের মোড়সহ রাজশাহী মহানগরের বিভিন্ন মোড়ে বসেছিল কোরবানির সংগ্রহ করা মাংসের বাজার।

Image may contain: one or more people, people sitting and food

গত বছর ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে সংগহ করা মাংস বিক্রি হয়েছে। এবার বিক্রেতারা দাম নিচ্ছেন ৫২০ টাকা থেকে ৫৫০ কেজি দরে। আর কোরবানির খাসির মাংসের দর ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা।

মহানগরের শিরোইল কলোনি এলাকার মাংস বিক্রেতা শফিকুল জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩০ কেজি মাংস কেনাবেচা করেছেন। এতে তার ভালোই লাভ হয়েছে। পাড়া-মহল্লা থেকে ভিক্ষুক ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ যেই মাংস সংগ্রহ করেছেন তাই তিনি কিনে নিয়েছেন। পরে সেই মাংস আবার ভ্যানে করে বিক্রি করে বেড়িয়েছেন।

রেলওয়ে কলোনি এলাকার এক ব্যাক্তি বলেন, যারা কোরবানি দিতে পারেননি এবং যাদের এই মহানগরে বড় খাবারের হোটেল আছে তারাই মূলত এই মাংসের ক্রেতা। কেই আবার ২/৩ কেজি করে কোরবানির সংগ্রহ করা মাংস কিনে বাসায় নিয়ে গিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন। আর হোটেল ব্যবসায়ীরা এসব মাংস কিনে নিয়ে যান মজুত করে রাখার জন্য। তবে এবার করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় হোটেল ব্যবসায়ী ক্রেতা অনেকটাই কম।

তবে সংগ্রহ করা এসব মাংসের দাম বেশি হওয়ায় বিরূপ মন্তব্য করেন শালবাগান এলাকার ক্রেতা বাবুল শেখ। তিনি বলেন, প্রতি বছর এভাবে কোরবানির সংগ্রহ করা মাংসের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ আর কিনতে আসবে না। দোকানের দামেই যদি মাংস কিনতে হয় তাহলে ঈদের একদিন আগেই কেনা ভালো। বেশি দাম দিয়ে সংগ্রহ করা মাংস কিনতে হবে না।