রাজশাহীতে এক মাসে ১৪ নারী-শিশু নির্যাতনের শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে গত এক মাসে (১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর) ১৪ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহীর উন্নয়ন সংস্থা ‘লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার-লফস’র ডকুমেন্টেশন সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লফস দীর্ঘ দিন থেকে নারী ও শিশুর অধিকার নিয়ে কাজ করছে।

তারই ধারাবাহিকতায় সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেল রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকয় প্রকাশিত নারী ও শিশু নির্যাতনের সংবাদ পর্যালোচনা করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ঘটে যাওয়া নারী ও শিশু নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে রয়েছে- জেলার পুঠিয়া উপজেলার বেলপুৃকুর এলাকায় বোনের বাড়িতে বান্ধবীকে ধর্ষণ, রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাধীন বাজে কাজলা বৌ-বাজার এলাকায় নিজ বসত ঘরের তালা ভেঙ্গে খাটের নীচ থেকে সাজেদা বেগম (৭০) নামের নারীকে গলায় বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে হত্যা, পুঠিয়া উপজেলার তারাপুর গ্রামের ডালিয়া (১৯) নামের গৃহবধূ এক মাস ধরে নিখোঁজ, বাগমারার গোয়াল কান্দি ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ গ্রামে শরিফা বিবির (৫০) নামের গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা, বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের পানিরকামড়া গ্রামে স্বামীর উপর অভিমান করে উজালা আক্তার (২২) নামের গৃহবধু’র বিষপানে আত্মহত্যা, বাঘার হেলালপুর গ্রামে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী (২৮) কে ধর্ষণের অভিযোগ, দুর্গাপুর উপজেলার সিংগা গ্রামে হোজা নদীর কিনারে ফুসলিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ,

মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার হরিদাগাছি গ্রামের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অনার্সের ছাত্রী বিউটি খাতুন (২০) ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ এমন একটি সুইসাইড নোট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা, নগরীর চন্দ্রীমা থানাধীন মেহেরচন্ডী করাইতলা বৌ বাজার বাগান পাড়া এলাকায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে রুকাইয়া আক্তার রিতু (১৪) নামের স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা, বাগমারা উপজেলার গনিপুর গ্রামে পানের বরজ থেকে স্কুলছাত্র হাবিবুর রহমান (১৫) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার,

গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের খয়রা হাজরা পুকুর গ্রামে অহেদুল ইসলাম (১৮) নামের যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের মাহাবির দ্বারা (১০) বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, নগরীর ডাসমারী এলাকায় ৫ বছরের শিশুকে এক কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক। রাজশাহী অঞ্চলে নারী-শিশু নির্যাতনসহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দিষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।