রাজশাহীতে এক নকশার উপরে সবচেয়ে বড় দেয়াল চিত্র অঙ্কন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সম্প্রতি রাজশাহীর উপশহর ৩ নং সেক্টরে এক নকশার উপরে সবচেয়ে বড় দেয়াল চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। এক নকশার উপরে ভিত্তি করে রাজশাহীতে এত বিশাল দেয়াল চিত্র অঙ্কনের ঘটনা এই প্রথম। এর উচ্চতা ১১ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ৫৯ ফুট। উদার মনের মানুষ এবং যাদের মধ্যে শিল্পকর্ম ও ভাবাবুক মন রয়েছে আসলেই তারাই পারেন এমন কাজ করতে।
এমনি একজন মানুষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক ছাত্র চিত্র শিল্পী আবুল বাশার। তিনি এই চিত্রটি অংকন করেছেন। এক যুগ ধরে আপন মনে এই কাজ করে চলছেন। কিন্তু কখনো নিজেকে এতদিন মেলে ধরেননি। তবে তকার চিত্যকর্ষতার পরিচিতি পুরো বাংলাদেশেই রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দেয়াল চিত্রটিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস। কেউ দেয়াল চিত্রটির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে, কেউ বা বিমুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে।
এছাড়াও রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী অনেক মানুষই থমকে দাঁড়িয়ে দেয়াল চিত্রটি এক পলক দেখে নিচ্ছে। এরমধ্যে ছোট শিশুদের উচ্ছ্বাসই সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ছবি তুলতে আসা কয়েকজন তরুণ তরুণীর সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীতে নকশার উপর ভিত্তি করে আঁকা এমন দেয়াল চিত্র এর পূর্বে তারা কেউ আর দেখেন নি। তাই দেয়াল চিত্রটির সাথে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখতে এখানে ছবি তুলছেন অনেকেই।
স্থানীয় রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রতিদিন রাজশাহীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মানুষ চিত্রটি দেখতে এখানে ভিড় করছে ফলে একটি উৎসবমুখর পরিবেশর সৃষ্টি হয়েছে। দেয়াল চিত্রটির শিল্পী ইভরহব এর সত্ত্বাধীকারী আবুল বাশারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই কাজটি করতে পারা আমার জন্য এক ভিন্ন রকমের অর্জন। রাজশাহীবাসীর নিকট থেকে যে আন্তরিকতা ও ভালোবাসা পাচ্ছি তা আমাকে বিমোহিত করছে। তবে শিল্পি আবুল বাশার নিজেকে শিল্পীর পরিবতে রং মিস্ত্রি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ বোধ করেন। তার মতে, রং তুলি দিয়ে এই সমাজে শিল্প রচনা করা যায়না। কেননা শিল্পের প্রতি এই সমাজ বরাবরই উদাসীন। শিল্পকে মূল্যায়নের যথাযথ ক্ষমতা এখনও এই সমাজের হয়ে উঠেনি। শিল্পী যে একটা পেশা সেটাও খুব কম মানুষ বোঝে। শিল্পকে বিনামূল্যে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা সর্বত্রই। তাই তিনি নিজের শিল্পী পরিচয় পাল্টিয়ে দিয়েছেন রং মিস্ত্রি।
শিল্পটাকে তিনি বলেন কাজ। এটাই যখন তার জীবিকার পথ। জীবিকার উৎস। যেহেতু তিনি একজন সাধারণ মানুষ, সেহেতু নিজেকে সাধারণের কাতারে নামিয়ে এনে মিশে যেতে চাচ্ছেন সমাজের সকল শ্রমজীবী মানুষের চিন্তার সাথে। নিজের কাজটাই একমনে করে যেতে চাচ্ছেন সকল পরিচয়ের উর্ধ্বে গিয়ে। তার প্রতিষ্ঠিত Bfine সারাদেশে কাজ করছে বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং বলে জানান তিনি নিয়ে।