সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
সংবাদের প্রধান শিরোনাম, ‘রাজধানীর আজিমপুরে ডাকাতি মালামালের সঙ্গে দুধের শিশুকেও নিয়ে যায় ডাকাতরা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আজিমপুরের একটি বাসায় দিনে দুপুরে ডাকাতি করতে ঢুকে মালামালের সঙ্গে একটি দুধের শিশুকেও নিয়ে চলে গেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার সকাল ৯টায় লালবাগ টাওয়ারের পাশের একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
এক নারী সাবলেট ভাড়া নেয়ার একদিন পরেই তার সহযোগীদের মাধ্যমে এমন ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।
জড়িতদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশের একাধিক টিম। শিশুটির ছবিসহ একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ দেয়া হলেও সঙ্গে সঙ্গে থানা-পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একজন নারী ও তিনজন পুরুষ ওই শিশুসহ কিছু মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। তবে দুর্বৃত্তদের চেহারা বোঝা যাচ্ছিলো না।
মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘ফিরে এলো গায়েবি মামলা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জুলাই অগাস্টের আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে গেলেও তার আমলের বিতর্কিত গায়েবি মামলা কোথাও যায়নি। গায়েবি মামলাগুলো ফিরে আসার পাশাপাশি মামলা বাণিজ্যও বেড়েছে বহুগুণ।
জুলাই-অগাস্টে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা করেন নিহতদের স্বজনরা। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আসামি করা হয়।
কিন্তু এসব মামলায় নিরীহ অনেক মানুষকে ব্যক্তিগত শত্রুতা, এলাকাভিত্তিক দ্বন্দ্বে আসামি করার অভিযোগ রয়েছে।
কোনোদিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলন ভিন্নদিকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা ছিল না এমন ব্যক্তিও আসামি হয়েছেন।
নিহতদের যে স্বজন বাদী হয়ে মামলা করেছেন তারা নিজেরাই অনেক আসামিকে চিনেন না। কখনো তাদের নামও শুনেননি। এসব হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে হাজার হাজার ব্যক্তিকে।
এ ছাড়া কোনো কোনো মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে আরও কয়েক শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বেশির ভাগ মামলার এজাহারের বর্ণনা একই। উপরের সারির আসামিরা একই।
নিচের সারিতে যারা আসামি তাদের নামের ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকলেও অভিযোগ আছে এসব আসামিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হয়রানি ও শত্রুতাবশত আসামি করা হয়েছে।
ঢালাওভাবে এসব মামলার কারণে ভুক্তভোগীদের সুবিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘যথেচ্ছ অনিয়মের সুযোগ বন্ধ, তবে সংকট কাটেনি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে দীর্ঘদিন ধরে চলা ডলারুসংকটের আপাত সমাধান হলেও ব্যাংকিং খাতে যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, তা দূর করা যায়নি।
বেসরকারি পাঁচ ছয়টি ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা এখনো চাহিদামতো টাকা তুলতে পারছেন না।
এই ব্যাংকগুলো ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি লুটপাটের শিকার হয়েছিল।
এসব ব্যাংকে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর কয়েক দিনের মধ্যেই ১১টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেন।
কমিটি গঠিত হয় ব্যাংক খাত সংস্কার ও পাচার করা অর্থ উদ্ধারে। কিন্তু এতেও ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকট দূর হয়নি।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে বেশ কিছু ব্যাংককে ধার দিয়ে আসছিল। নতুন সরকার গঠনের পর টাকা ছাপিয়ে ধার দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।
তাদের টাকার জোগান দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এই ব্যবস্থায় ব্যাংকগুলো চাহিদামতো টাকা ধার পাচ্ছে না। ফলে প্রয়োজন অনুসারে টাকা তুলতে না পারায় গ্রাহকের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সার্বিকভাবে, ব্যাংক খাতের ওপর গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসেনি। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, একটি পরিষ্কার পথনকশা না থাকায় তড়িঘড়ি করে নেওয়া সংস্কার উদ্যোগ দুর্বল হয়ে পড়ছে।
যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘নির্বাচন ও সংস্কারের চাপ বাড়ছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রার ১০০ দিন পার হয়েছে।
পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ নিয়ে পথচলা শুরু করে এ সরকার। সাদা চোখে ১০০ দিনে তেমন বড় অর্জন হয়তো নেই। তবে সম্ভাবনা বিশাল।
প্রথমত, দেশের মানুষের নজিরবিহীন সমর্থন এবং দ্বিতীয়ত, উন্নয়ন সহযোগীসহ বহির্বিশ্বের সমর্থন ও স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার আশ্বাস।
কিন্তু আলোচ্য সময়ে সম্ভাবনার সবটুকু কাজে লাগানো যায়নি।
সামনে দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জ-রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজ চায়-কোনো সরকার যাতে ভবিষ্যতে দানবে রূপ না নেয়, এজন্য রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে।
তবে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত রয়েছে। বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি মনে করে, নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার, অন্তর্বর্তী সরকারের সেটুকু করা উচিত।
বাকিটা নির্বাচিত সরকার করবে। কারণ, বড় সংস্কারের বৈধতা দিতে সংসদ জরুরি।
এক্ষেত্রে জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান আরেকটু ভিন্ন। তারা সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দিতে চায়।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন ও সংস্কার-এ দুই দাবির মধ্যে যৌক্তিক ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘শিক্ষাঙ্গনে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার পতনের পর নানা ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে সড়কে আন্দোলনে নামছে।
এই আন্দোলনসহ নানা কারণে শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে মত শিক্ষাসংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞজনদের।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করে আন্দোলনে করে শিক্ষার্থীরা এবং দাবি আদায় করে ছাড়ে।
এরপর অনেকে একই পথে হাঁটতে থাকে। এইচএসসিতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরাও অটোপাসের দাবিতে নেমে আসে সড়কে, এরপর সচিবালয় ঘেরাও করে।
সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের পাঁচ দফা দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে একাধিকবার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে।
শিক্ষার্থীদের এভাবে ঘন ঘন রাস্তায় নেমে আসার ঘটনায় শিক্ষাঙ্গনের শৃঙ্খলা ব্যাহত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতেও নানা চিন্তাভাবনা করেন।
বাংলাদেশে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি। মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় তেমন পরিবর্তন আসেনি। এভাবে শিক্ষাঙ্গনের সর্বত্র অস্থিরতা চলছে।
এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মত, অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষার গুণগত মানে জোর না দিলে ভবিষ্যতে ভুগতে হবে। তাদের প্রত্যাশা, সরকার দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে শিক্ষার সব ক্ষেত্রকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসবে।
নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘জুলাই-আগস্টে বিচার বহির্ভূত হত্যা ১৫৮১ জন’।
প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের এক জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তারা বলছে, গত জুলাই থেকে ৫ই অগাস্ট পর্যন্ত দেশে এক হাজার ৫৮১টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে ১৮ হাজারের বেশি। তাদের মধ্যে চোখ নষ্ট হয়ে গেছে ৫৫০ জনের।
সংগঠনটির দাবি, এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে আন্দোলন দমনের নামে সবচেয়ে বড় হত্যাযজ্ঞ।আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুম এবং গ্রেফতারের পর অসংখ্য আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর নির্যাতন চালায়।
অধিকারের প্রতিবেদনে দেয়া সুপারিশে বলা হয়, এমন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন এবং অমানবিক ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।
সেইসাথে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬, সন্ত্রাস দমন আইন ২০০৯ ও সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ সহ সমস্ত নিবর্তনমূলক আইন অবিলম্বে বাতিল করার কথা বলা হয়।
গুমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করে গুমের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করতে হবে এবং ভিকটিম পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেয়ারও পরামর্শ দেয় সংগঠনটি।
সর্বস্তরে মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকসহ সমস্ত মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে তাদের ওপর হামলার ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করার কথা জানায় অধিকার।
আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘পুলিশ থেকে আনসার প্রত্যাহার’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘিরে বিক্ষোভের পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে অনেক আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা, সাময়িক বহিষ্কার, কালো তালিকাভুক্ত করা এবং ইস্যু করা অস্ত্র প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশ্রাম পদ্ধতি বাতিল করে চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২৫শে আগস্ট ঢাকার সচিবালয় এবং বিভিন্ন জেলা শহরে বিক্ষোভ করেন অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা।
ওই দিন সচিবালয়সহ কয়েকটি স্থানে ছাত্রদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষও হয়।পরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে আনসারদের সচিবালয়ের সামনে থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ঢাকার সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় ডিএমপির শাহবাগ, পল্টন, রমনা ও বিমানবন্দর থানায় একাধিক মামলা করা হয়। এতে হাজারের বেশি সদস্যকে আসামি করা হয়।
এসব মামলায় অন্তত ৪০২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন। তদন্ত করে অভিযুক্ত আট হাজার ৯১৪ জন আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আনসার হল পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তাকারী এ বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হলেও সাফল্য অজানা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিগত সরকারের আমলে দেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
ক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটিসহ (জিএফআই) বিভিন্ন সংস্থার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশ থেকে অন্তত ১৪ হাজার ৯২০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে।
প্রতি ডলারে বিনিময় হার ১২০ টাকা ধরলে বাংলাদেশী মুদ্রায় পাচারকৃত এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় অন্তত ১৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকায়।
পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠান নিযুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিনিধি ছাড়াও বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের প্রক্রিয়া চলছে।
আর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা চাচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়াটি বেশ কঠিন ও দুঃসাধ্য। বণিক বার্তার এই প্রতিবেদনের শুরুতেই তিউনিশিয়ার ঘটনা দিয়ে শুরু করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, স্বৈরশাসক বেন আলি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার ও তার ঘণিষ্ঠজনদের পাচারকৃত এ অর্থ ফেরাতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। সুইস ব্যাংকগুলোয় বেন আলির পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে মামলা করেছিল তিউনিসিয়া।
তবে দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলা খারিজ হয়ে যায়। দাবীকৃত অর্থের বিপরীতে খুব সামান্যই ফেরত আনতে সক্ষম হয় দেশটি।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘$১.১ন ষড়ধহ ষরশবষু নু উবপবসনবৎ’ অর্থাৎ, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে ১০১ কোটি ডলার ঋণের সম্ভাবনা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক তাদের বোর্ডে ১০১ কোটি ডলারের প্রস্তাব জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এসব প্রস্তাবের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০ কোটি ডলার এবং এডিবি থেকে ৬০ কোটি ডলার আশা করছে।
বিশ্বব্যাংক ঋণ প্রস্তাব ডিসেম্বরের প্রথম ও দ্বিতীয়ার্ধে তার বোর্ডে উপস্থাপন করা হতে পারে।
এডিবির ঋণ স্ট্রেংথেনিং ইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রোগ্রামের আওতায় আসতে পারে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, সরকারকে এই ঋণ কর্মসূচির অধীনে বেশ কিছু সংস্কার শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্তগুলি বেশিরভাগই রাজস্ব ব্যবস্থাপনা এবং বর্ধিত রাজস্ব সংগ্রহ বিষয়ক।
শর্তগুলির মধ্যে, সরকারকে ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স জোরদার করতে হবে এবং ভ্যাট ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে, বেশিরভাগ অটোমেশনের মাধ্যমে। কর বহির্ভূত রাজস্ব বাড়াতেও বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে হবে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা