সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচের। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে রাগের মাথায় ভুল করে লাইন অফিসিয়ালকে মেরে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। এবার বহিষ্কার না করা হলেও কোর্টের ভিতর ফের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে বিতর্কের কাণ হয়েছেন। ইতিমধ্যে টেনিসদুনিয়ায় তার কাণ্ড নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে।
শনিবার ইতালিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে ডমিনিক কোয়েফারের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন জকোভিচ। এই সার্বিয়ান তারকা ২-১ সেটে ম্যাচটি জিতে নেন। খেলার ফল জকোভিচের পক্ষে ৬-৩, ৪-৬, ৬-৩। কিন্তু ম্যাচ জিতলেও কোর্টের ভিতর নিজের রাগ প্রকাশ করে বিতর্কের সূচনা করেন। দ্বিতীয় সেটে এক জায়গায় নিজের খেলায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় কোর্টেই নিজের টেনিস র্যাকেটটি আছাড় মেরে ভেঙে ফেলেন। এরপরই তাকে সতর্ক করেন চেয়ার আম্পায়ার।
যদিও ম্যাচ শেষে নিজের ভুল বুঝতে পারেন জকোভিচ। ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘’এই প্রথম বা শেষবার নয় যে, আমি কোনো র্যাকেট ভাঙছি। আগেও ভেঙেছি, ভবিষ্যতেও হয়তো ভাঙব। কিন্তু আমি এটা করতে চাই না। হয়ে যায়। আমি এভাবেই নিজের রাগ কমাতে পারি। জানি এটা ঠিক নয়। বিশেষ করে তরুণ টেনিস খেলোয়াড়দের জন্য। আমি এই বিষয়ে তাদের উৎসাহ দিতে চাই না। কিন্তু দেখুন, আমরা প্রত্যেকেই মানুষ। সবসময় নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিছু সময় পারি, কিছু সময় পারি না।’
এর আগে ইউএস ওপেনে রাগ দেখিয়ে একটি বল দূরে মারতে গিয়ে এক লাইন অফিসিয়ালকে আহত করে বসেছিলেন জকোভিচ। টুর্নামেন্টের নিয়মানুযায়ী, তখনই তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ক্ষমা চাইলেই এবারও প্রায় একই কাণ্ড ঘটালেন। তবে সৌভাগ্যক্রমে তাকে আর বহিষ্কার করেননি অফিসিয়ালরা। এদিকেআর্জেন্টিনার টেনিস খেলোয়াড় দিয়েগো স্কোয়ার্ৎমানের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ছিটকে গেছেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল।
