রাগীব আলীর জালিয়াতির মামলার রায় আজ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: সিলেটে দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা-বাগান বন্দোবস্ত নিয়ে রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করা হবে।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে মামলার শুনানিতে রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন। কিন্তু আদালতে আসামিপক্ষ উপস্থিত থাকলেও তাদের আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেননি।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান জানান, ‘বুধবার মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে জালিয়াতি মামলার রায় আজ ঘোষণা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেছেন সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো।’

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেবোত্তর সম্পত্তির তারাপুর চা-বাগান ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে দখল নেন রাগীব আলী। বাগানের একাংশে রাগীব আলী ও তার স্ত্রীর নামে মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপন করেন। দেবোত্তর সম্পত্তির চা-বাগান বন্দোবস্ত নেওয়া ও চা-ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা করার অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটো মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়ে মামলা দুটি পুনরুজ্জীবিত করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আপিল বিভাগের চার বিচারক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই রায় দেন। এরপর দুই মামলায় গত ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলে ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।

ওই দিনই পালিয়ে ভারতের করিমগঞ্জ চলে যান রাগীব আলী ও তার ছেলে। ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন রাগীব আলী। ওই দিনই তাকে দেশে পাঠানো হলে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ১২ নভেম্বর ভারত থেকে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন হয়ে দেশে ফেরার সময় আবদুল হাই গ্রেফতার হন।

 

সূত্র: বাংলাট্রিবিউন