রপ্তানির শেষ দিনে ভারত গেল ১৭২ টন ইলিশ

শনিবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আগামী ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদ বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে রপ্তানির শেষ দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে আরো ১৭২ মেট্রিক টন ৪৯০ কেজি ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে। এ নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ভারতে মোট এক হাজার ১০৮ মেট্রিক টন ২৮০ কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি হলো।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার সাইফুর রহমান মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশি ২০ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আজ রাত ৯টা পর্যন্ত ইলিশ মাছ রপ্তানি করার জন্য চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখায় আইজিএম (গেটপাস) করেছেন। ইলিশের ট্রাকগুলো বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছালে বেনাপোল মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা নমুনা পরীক্ষা করে তা রপ্তানির অনুমতি দেন।

বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম বলেন, ভারতে ইলিশ রপ্তানির শেষ দিন ছিল আজ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে আজ ৩ অক্টোবর রাত ৯টা পর্যন্ত মোট এক হাজার ১০৮ মেট্রিক টন ২৮০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। রাত ১২ টার পর থেকে ভারতে কোনো ইলিশ রপ্তানি করা যাবে না।

শার্শা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ বছর ১১৫টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শেষ দিন পর্যন্ত এক হাজার ১০৮ মেট্রিক টন ২৮০ কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি হয়েছে। প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এসব চালান রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সব ইলিশ রপ্তানির নির্দেশনা দেওয়া হলেও পরে সেটা কমিয়ে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়। আগামীকাল ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর দেশে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে রপ্তানিকারকরা দেশের বাজারে বা মোকামে ইলিশ পাবে না। এ কারণে আজই ইলিশ রপ্তানি শেষ হচ্ছে।

ইলিশ রপ্তানিকারক বিশ্বাস ট্রেডার্সের মালিক নূরুল আমিন বিশ্বাস বলেন, এবার ভারতে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করার কথা ছিল। কিন্তু বাজারে ইলিশ সংকট থাকায় আপাতত বন্ধ থাকছে। ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে সরকারের কাছে আবার আবেদন করা হবে। অনুমতি পেলে বাকি ইলিশ ভারতে রপ্তানি করব।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ