যে পরিবেশে পরবেন যেমন জুতা

পরিবেশ বুঝে একেক সময় একেক ধরনের জুতা পরাই স্টাইলিশ ট্রেন্ড। ব্র্যান্ডগুলোও বিভিন্ন অনুষ্ঠান, অফিস, ঘোরাঘুরি ও ঘরে পরার জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা নিয়ে আসছে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আতিফ আতাউর।

বাসায় সবাই একটু আরাম আর আয়েশই খুঁজে বেড়ান।

এ জন্য এমন জুতা পরতে চান যেটায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আবার যখন বাইরে কোনো জমকালো পার্টি বা অনুষ্ঠানে যান, তখন চান জুতাটাও যেন অভিজাত হয়। তখন আরামের চেয়ে যেন চাকচিক্যটাই বেশি প্রাধান্য পায়।

একই ব্যক্তি ঘুরতে গিয়ে এমন জুতা খোঁজেন যেটায় আরামের সঙ্গে মিলবে অবিরাম হাঁটাচলার সুবিধা। গ্রাহকদের এমন ভিন্ন ভিন্ন চাহিদার কারণে ব্র্যান্ডগুলোও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জুতা নিয়ে আসছে বাজারে। এর কোনোটি যেমন বৃষ্টিতে পরার উপযোগী, আবার কোনোটি শীতে পায়ের জন্য আরামদায়ক উষ্ণতা এনে দেয়।

এখন পরিবেশের ধরন বুঝে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা পরার ট্রেন্ড চলছে তরুণদের মধ্যে। বিশেষ করে কখন কেমন জুতা পরলে ভালো মানাবে এবং সুন্দর ও স্টাইলিশ দেখাবে সেদিকে তাদের মনোযোগ ষোলআনা। তাই তাদের সংগ্রহে যুক্ত হচ্ছে সময়োপযোগী সব জুতা। অফিসে এক রকম, অনুষ্ঠানে আরেক রকম জুতা বেছে নিচ্ছেন ফ্যাশনপ্রেমীরা। আবার আড্ডায় অথবা হাঁটতে যাওয়ার জন্য বেছে নিচ্ছেন আরেক রকম জুতা। রেড বিউটি পার্লারের রূপ বিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, ‘কখন কোথায় যাচ্ছি তার ওপর নির্ভর করে পোশাক বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে জুতাও। কারণ পোশাক ও পরিবেশের সঙ্গে মিল রেখে জুতা না পরলে বেমানান দেখায়। এখন স্টাইলিশ ডিজাইনের নানা জুতা পাওয়া যায় ব্র্যান্ডগুলোতে। এখান থেকে বেছে নিতে হবে পছন্দের জুতা। ’

বাটার মার্কেটিং ম্যানেজার ইফতেখার মল্লিক বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের চাহিদা ও পরিবেশের ওপর প্রাধান্য দিয়ে একেক সময় একেক ম্যাটেরিয়াল ও ডিজাইনের জুতা তৈরি করি। যাতে শীত, গরম, বৃষ্টি, কাদাতেও তারা পছন্দের জুতা বেছে নিতে পারেন। পরিবেশ ও ব্যবহারের উপযোগিতা ভেদে ম্যাটেরিয়ালের ক্ষেত্রেও বাড়তি মনোযোগ থাকে আমাদের। এ জন্য জুতাগুলো টেকসই হওয়ার পাশাপাশি ব্যবহারেও ফ্যাশনের সঙ্গে আরাম পাওয়া যায়। ’

বিয়ে বা অনুষ্ঠানে শাড়ি বা জমকালো যেকোনো পোশাকের সঙ্গে চাই স্টাইলিশ জুতা। এ জন্য দুই স্ট্রাইপের রং-বাহারি লেডিস স্লিং ব্যাক স্যান্ডেলগুলোই ট্রেন্ডে এগিয়ে। সিনথেটিক টাচের ফেন্সি হিলগুলো খুব সহজেই আপনাকে এনে দেবে গর্জিয়াস লুক।

আর বন্ধুদের আড্ডায় বা বাইরে খেতে যাওয়ার বেলায় হাঁটতে আরাম লাগে এমন এক্সট্রিম ফিটিং ফ্লাই নিট আউটসোল জুতাই জুতসই।

তরুণদের মধ্যে ফিট থাকার প্রবণতা বেড়েছে। হাঁটা বা জিমনেসিয়ামে ব্যায়ামের উপযোগী জুতাও পাওয়া যাচ্ছে ব্র্যান্ডগুলোতে। স্ট্রেচ নিটিংয়ের এক্সট্রিম ফিটিংয়ে আরামের সঙ্গে এসব জুতার নকশাতেও তুলে ধরা হচ্ছে আলাদা নতুনত্ব।

সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে নীড়ে ফিরে নিজের মতো থাকার আকাঙ্ক্ষা সব্বারই। একান্তই নিজের সময়টুকু আরামে কাটাতে চাই আরামদায়ক পাদুকা। ঘরে পরার জুতার নকশা ও ডিজাইনেও সেই ইচ্ছাপুরণের ষোলআনা চেষ্টা ডিজাইনারদের। পা খোলা এসব টু স্ট্রাইপ জুতায় সহজেই আরাম ও স্বস্তি মিলবে। পিভিসি স্ট্র্যাপ আপার আউটসোলের কারণে পানিতে ভিজেও নষ্ট হয় না। শুকায়ও তাড়াতাড়ি। একদম হালকা এবং ফ্ল্যাট হওয়ায় সারা দিন পরে থাকলেও কোনো অস্বস্তি হয় না।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ