যে কারণে বাফুফে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বাদল রায়

বিকেল ৫টা বাজার পরই বাফুফে নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিশনের প্রতিনিধি জানিয়ে দিলেন, সময় শেষ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুজন সদস্যপদ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

বাদল রায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন, দুপুরের পর থেকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লেও ৫টার পরও সেটা না হওয়ায় সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, তিনি থাকছেন। কিন্তু নাটকের শেষ অধ্যায় তখনও বাকি।

জানা গেল, বাদল রায়ের পক্ষে তার স্ত্রী মাধুরী রায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য বাফুফে ভবনে আসছেন। গণমাধ্যমকর্মীরা বাফুফে ভবনের সামনের মাঠে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকলেন।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায় বাফুফে ভবনে প্রবেশ করেন এবং তার স্বামীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠি তুলে দেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগের হাতে।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠি জমা দিয়ে বাফুফে ভবন ত্যাগের আগে মাধুরী রায় গণমাধ্যমকে জানান, শারীরিক অসুস্থতার জন্যই তার স্বামী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

বাদল রায়ের স্ত্রী বলেন, ‘সে ফুটবলের জন্য কাজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু এখন দেখছি তার শরীর আসলে ভালো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যের অনেক অবনতি হয়েছে। কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে তার। আমার পরিবার, ছেলে-মেয়ে এবং যারা ওর শুভাকা ঙ্ক্ষী-সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে (বাদল রায়) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবে। সে জন্য প্রত্যাহার করতে এসেছি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন চলছে, চাপেই সরে গেছেন বাদল রায়। আসলেই কি তাই? মাধুরী রায়ের উত্তর, ‘কোনো দিক দিয়ে কোনো চাপ ছিল না। নির্বাচন করতে গেলে অনেক চাপ আসবে, সেটা শারীরিক চাপ। ক্যাম্পেইন করা, লোকজনের সঙ্গে কথা বলা। নির্বাচন করতে গেলে ওর শরীর আরও খারাপ হতো। সেই জন্য প্রত্যাহার করা। অন্য কোনো চাপ আসছিল কি না, তা জানি না।’

মাধুরী রায় সঙ্গে যোগ করেন, ‘যদি তার (বাদল রায়) নাম ব্যালট পেপারে থাকেও, তবু তাকে ভোট না দেয়ার জন্য আমি কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ