যে কারণে দেশকে ফ্রান্সের হাতে তুলে দিতে চায় লেবাননের জনগণ

লেবাননের কর্তৃত্ব আগামী ১০ বছরের জন্য ফ্রান্সের হাতে তুলে দিতে চায় দেশটির জনগণ। এই দাবিতে ইতিমধ্যে একটি পিটিশনও খোলা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত স্বাক্ষর করেছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।

রাজধানী বৈরুতের সমুদ্রবন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে শতাধিক প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে জনগণ। ৪ আগস্টের ওই বিপর্যয়ের জন্য সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন তারা।

সরকারের প্রতি তীব্র অনাস্থা জানিয়ে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। পিটিশনে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ফরাসী শাসন কার্যকরের দাবি জানাচ্ছে তারা। তবে লেবাননের জনগণের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো।

তিনি বলেছেন, ফ্রান্স আর লেবানন পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চায় না। এটা সম্ভব নয়। এটা কোনোভাবেই সমস্যার সমাধানও নয়। খবর মিডিল ইস্ট মনিটর ও এপির।

বিস্ফোরণের দু’দিন পর প্রথম কোনো বিদেশি নেতা হিসেবে বৈরুত সফরে আসেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। ত্রাণ ও উদ্ধারকারী বাহিনীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বৈরুতে পৌঁছেই বিস্ফোরণস্থলসহ ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাস্তাঘাট ঘুরে দেখেন তিনি।

তারপরই পপুলার পিটিশন স্বাক্ষর শুরু হয়। এতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় লেবাননের শাসকরা চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ, বিদ্রোহী সংকটে পর্যুদস্ত দেশটি ধ্বংসের কিনারে দাঁড়িয়েছে। আমাদের বিশ্বাস স্বচ্ছ এবং স্থায়ী সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে লেবাননের উচিৎ ফ্রান্সের শাসনে ফিরে যাওয়া।’

পরদিন (শুক্রবার) লেবাননের প্রেসিডেন্ট আউনের সঙ্গে বৈঠক করেন ম্যাক্রো। বৈঠকে প্রেসিডেন্টকে সতর্কবার্তা দিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘লেবানন ডুবতেই থাকবে যদি না দেশটির নেতৃত্বে রদবদল আসে।’

তিনি বলেন, লেবাননের পাশে তার দেশ ছিল, থাকবে। তবে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ক্ষমতার কাঠামোয় বদল না এলে আর একটি টাকা সাহায্য নিয়েও এগিয়ে আসবে না ফ্রান্স।