যেসব লক্ষণে বুঝবেন ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট, কী করবেন

ওভারিয়ান সিস্ট এবং টিউমার দুটি আলাদা বিষয়। তবে এই সমস্যা দুটিকে সবাই এক মনে করেন। ফলে যা হয় তা হলো এ নিয়ে কনফিউশন থেকে যায়, ফলে ওভারিতে ফাংশনাল/ফিজিওলজিক্যাল সিস্ট থাকলেও সঠিকভাবে বুঝতে না ও রোগীরা দুশ্চিন্তায় ভোগেন।

ওভারিতে ফাংশনাল সিস্ট কেন হয়

শরীরে যদি কোনো কারণে হরমোনের তারতম্য হয়। তবে ফাংশনাল বা ফিজিওলজিক্যাল সিস্ট তৈরি হতে পারে।

এমন কিছু সিস্ট হচ্ছে ফলিকুলার এবং কর্পাস লুটিয়াম সিস্ট। শরীরে হরমোনাল ইমব্যালেন্স হলে ওভুলেশন বা ডিম্বস্ফুটন ব্যাহত হয়।

নিয়মিতভাবে ডিম্বস্ফুটন না হলে ডিমের এই আবরণীর মধ্যে পানি জমে পরবর্তী সময় ফলিকুলার সিস্টে পরিণত হয়।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট

সাধারণত এই রোগের তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।

বিভিন্ন রকম ওভারিয়ান সিস্টের মধ্যে ফলিকুলার সিস্ট সবচেয়ে কমন, যা পলিসিস্টিক ওভারিতে হয়ে থাকে।

এ ধরনের রোগীরা অনিয়মিত মাসিক এবং বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন। এ ছাড়া এই সিস্টের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য যে সমস্যাগুলো থাকতে পারে তা হচ্ছে- অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, শরীরে অবাঞ্ছিত লোম, রক্তের ব্লাড সুগার বা কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া।

চিকিৎসা

অন্যান্য ওভারিয়ান টিউমারের চিকিৎসা অপারেশন হলেও ওভারিয়ান সিস্টের চিকিৎসায় অপারেশন দরকার হয় না। তবে হরমোনাল ওষুধ দেয়া যেতে পারে।

সাধারণত ২-৩ মাসের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো চলে যায়। এ সময় অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।

আর যদি অপরারেশনের যদি প্রয়োজন হয় তবে চিকিৎসক আপনাতে তা অবশ্যই জানাবেন।

 

সুত্রঃ যুগান্তর