বৃহস্পতিবার , ৩০ এপ্রিল ২০২০ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

যেসব উদ্যোগে এখনো করোনামুক্ত রাজশাহী নগরী

Paris
এপ্রিল ৩০, ২০২০ ১২:২৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের থাবা যখন বিস্তার লাভ করছে দিনকে দিন। এমনকি গোটা বিশ্বেই এর থাবায় বিপর্যস্ত, তখনো রাজশাহী নগরী করোনাভাইরাসমুক্ত। প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ করে তাৎক্ষণিক লকডাউনের ব্যবস্থা করাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করায় এ শহর এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসমুক্ত।

পাশে থাকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এ সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা দুজনেই দিনরাত সার্বক্ষণিকভাবে মানুষের জন্য নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বলা যায়, করোনাযুদ্ধে লড়ছেন রাসিক মেয়র লিটন ও বাদশা। আর তাতেই সফলতা পেয়েছে রাজশাহী নগরী। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজশাহী সিটিতে কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।

গত ৬ এপ্রিল রাজশাহী বিভাগীয় সম্নয় কমিটির সভায় রাজশাহী জেলাকে লকডাউনের দাবি জানান রাসিক মেয়র লিটন ও সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা। সেইদিন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে রাজশাহীকে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও পরবর্তিতে আবারো জেলা প্রশাসক রাজশাহীকে লকডাউন ঘোষণা করেন। এছাড়াও গত ১ এপ্রিল থেকে মেয়র ও এমপির উদ্যোগে দ্রুত রাজশাহীতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা চালু করা হয়। আরও একটি ল্যাব চালুর অপেক্ষায় আছে। এর বাইরে রাসিকের পক্ষ থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। এসবের ফলেই রাজশাহী শহর এখনো করোনাভাইরাসমুক্ত রয়েছে।

রাসিক এই করোনাযুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব উদ্যোগরদ নিয়েছে তা সিল্কসিটিনিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

জনসচেতনতা সৃষ্টিতে দেড়লাখ লিফলেট বিতরণ, মহানগরজুড়ে মাইকিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার, ডিস লাইন ও ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে সচেনতনতামূলক বক্তব্য প্রচার ও মসজিদে মসজিদে ইমামদের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একাধিক সভা করা হয়েছে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় ও ৩০টি ওয়ার্ডে ৩০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে এসব কমিটি বিদেশ ফেরত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইস ও সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে তদারকি করছে।

খাদ্য সহায়তা নিম্ন আয়ের মানুষদের বাড়ি বাড়ি পৌছে দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী প্রথম পর্যায়ে ২০ হাজার পরিবারকে দেওয়া হয়েছে খাদ্য সহায়তা (পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল ও এক কেজি ডাল) প্রদান করা হয়েছে।

২য় পর্যায়ে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার পরিবার পেয়েছে খাদ্য সহায়তা। এটি অব্যহত রয়েছে (পরিবার প্রতি ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল) বিতরণ। পর্যায়ক্রমে এক লাখ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাসিকের সহযোগিতায় ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ৪ হাজার পরিবারকে মোট ৬০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে (জনপ্রতি-১৫০০)।

২০ হাজার মাস্ক ও এক হাজার লিটার স্যানিটাইজার তৈরি করে বিতরণ করা হয়েছে। মহানগরীর ২৭টি পয়েন্টে স্যানিটিইজার দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৩০০জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ৫টি ওয়াটার ট্যাংকার দিয়ে মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও হাট বাজারে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে।

৩০টি ওয়ার্ডের অলি-গলির রাস্তায় ও হাট বাজারসহ সর্বত্র জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য নিরাপদ শোষাক মাক্স, হ্যান্ড গ্লাভর্স ও স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়েছে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে ল্যাব স্থাপন কার্যক্রম তদারকি করা হয়েছে।

 

স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ, রামেক হাসপাতাল পরিচালক, পরিচালক স্বাস্থ্য ও সিভিল সার্জনের সাথে একাধিকবার আলোচনা সাপেক্ষে রামেক হসপাতালের আইসিইউ ইউনিটকে শুধুমাত্র করোনা রোগী চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

সিটি হাসপাতালকে করোনা কর্ণার হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় চীন থেকে ৩০০ পিপিই ক্রয় করা হয়েছে।

করোনোভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে বহনে এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেউ মারা গেলে তাকে দাফনে কবরস্থান নির্ধারণ ও সহায়ক টিম কাজ করছে। এরই মধ্যে বাঘার একজন বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পরে রাসিকের উদ্যোগে তাকে দাফন করা হয় নগরীর হেতেম খা গোরস্থানে।

জানতে চাইলে রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘এখনো প্রতিদিন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছি রোগীদের খোঁজ-খবর নিতে। এই শহরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আমি রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছি। হাসপাতালে আমাদের উদ্যোগে আরও একটি ল্যাব চালু হচ্ছে দ্রুত। আশা করি এটি চালু হলে রাজশাহীর করোনা পরীক্ষা নিয়ে তৈরী হওয়া শঙ্কট কেটে যাবে। এর বাইরেও রাজশাহী সিটিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমার পক্ষ থেকে হ্যান্ডস্যানিটাইজার বিতরণসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনও ব্যাপক কাজ করছে। এসব কারণেই রাজশাহী সিটি এখনো করোনাভাইরাসমুক্ত আছে হয়তো। তবে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে হলে।’

রাসিক মেয়র লিটন বলেন, ‘রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে করোনামুক্ত করতে রাসিকের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ এখনো চলমান। পাশাপাশি রাজশাহীতে দ্রুত ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগটাও সময়োপযোগী ছিলো। আশা করি আরও একটা দ্রুত চালু হবে। রাজশাহী শহরকে করোনামুক্ত রাখতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। তার পরেও জনসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে।’

স/আর

আরও পড়ুন-http://https://silkcitynews.com/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%87-%e0%a6%b2%e0%a7%9c%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%95/

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর