যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাহসান বললেন, ‘আমিও মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি’

দেশের জনপ্রিয় তিন অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থআত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।  সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন।  মামলার তদন্তের নথি সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এসেছে।

আমি যে বছর জানুয়ারিতে চুক্তিবদ্ধ হই তার আগের বছর জানুয়ারিতে আমাকে অ্যাপ্রোচ করা হয়। আমি যখন ডিনাই করছিলাম তখন তারা আমাকে বললো, ‘আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আছি। আমরা র‍্যাবের চলচ্চিত্র অপারেশন সুন্দরবনের সঙ্গে আছি। আমরা আইসিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি… তাহলে কেন ডিনাই করছেন?

তাহসানের সঙ্গে ইভ্যালি এভাবেই যোগাযোগ করে। দেশের জনপ্রিয় এই তারকাকে নিজেদের দলে ভেড়াতে এমনই বিশ্বস্ত কিছু সূত্র ব্যবহার করে বলে জানালেন। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন তাহসান। একটি কনসার্টে গিয়েছেন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সময় ভোর চারটায় তাহসান কথা বলেন কালের কণ্ঠের সঙ্গে। জানালেন জেগেই ছিলেন, আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।

ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, ‘আমি শেষ পর্যন্ত চুক্তি করেছিলাম। কিন্তু সেই চুক্তি অনুযায়ী কাজ করিনি। তার আগেই মে মাসে আমি চুক্তি টার্মিনেট করি। চুক্তি অনুযায়ী আমার বিঘগাপন কররার কথা ছিল। কিন্তু আমি বিজ্ঞাপন করিনি। এর আগে দুটো লাইভ করে অনেক কমপ্লেইন পেয়েছি, আমার কাছের মানুষেরা কমপ্লেইন করেছে। যার ফলে আর অগ্রসর হইনি। চুক্তি বাতিল করেছি।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন।  তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান।  এসব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

সারাবিশ্বে লাখ লাখ প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর রয়েছে, তাদের ওপর প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের দায়ভার আসে না জানিয়ে তাহসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রচারক কখনো প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক দায়ভার নেবেন না। সারাবিশ্বে লাখ লাখ প্রতিষ্ঠানের লাখ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর রয়েছে। তারা তো ওইসব কম্পানির সমস্ত দায়ভার নিয়ে বসে নেই। কম্পানির যখন সমস্যা দেখা যাবে তখন সরে আসবে। প্রচারণার দায়িত্ব পালন করা কোনোভাবেই অপরাধী হতে পারে না।’

জনপ্রিয় এই গায়ক মানহানি মামলা করবেন জানিয়ে বললেন, ‘গত ৭ মাস ধরে মানসিক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আর কিছু পত্রিকার চটকদার শিরোনাম দেখে অবাক হয়েছি। মামলা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার রাতে এই তথ্য প্রকাশ হলো কেন? এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না জানি না।’

তাহসান বলেন, যে কোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার বা নজরদারিতে বলতে কী বোঝায়? হ্যাঁ যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় তাদের তো একটা নজরে রাখতেই হয়। তাই বলে যে কোনো চটকদার মুখরোচক শিরোনাম করে কাটতি বাড়ানোর কোনো অর্থ হয় না। যা হবে আইনগতভাবে হবে। একটা মামলা হয়েছে সেটার তদন্ত চলছে। তদন্ত করে যদি আমাদের দোষ না পাওয়া যায় তাহলে আমাদের তো কোনো সমস্যা হবে না। আর তদন্ত করে পেলে তখন যেটা আইনত হবে তাই হবে।

ওসি ইকরাম আলি বলেন, এ মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ