যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের ক্ষমতা সংস্কার হচ্ছে, নিষিদ্ধ হচ্ছে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরা

যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনায় দেশটির পুলিশ বিভাগে সংস্কারের কথা উঠেছে। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে যখন-তখন পুলিশি হস্তক্ষেপের বিষয়টিও নিষিদ্ধ হচ্ছে।

পুলিশ বিভাগে বেশ কিছু তাৎক্ষণিক সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছে মিনেপোলিস সিটি কাউন্সিল। এসব সংস্কারের মধ্যে রয়েছে- হাঁটু দিয়ে কারও গলা চেপে ধরার কৌশলটি। ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে যখন-তখন হস্তক্ষেপের বিষয়টিও নিষিদ্ধ করা হবে।

শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্তগুলো পাস হয়। তবে এগুলো কার্যকর হতে একজন বিচারকের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, পাস হওয়া সংস্কার প্রস্তাবে আরও রয়েছে, জনসমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে টিয়ার গ্যাসসহ অন্য অস্ত্র ব্যবহারের জন্য মিনিয়াপলিস পুলিশ প্রধানের অনুমতি নিতে হবে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪ বার মানুষের গলা চেপে ধরে অজ্ঞান করা হয়েছে। অনেক পুলিশ বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই সংখ্যা আরও বেশি হবে।

গত ২৫ মে মিনেসোটার মিনিয়াপোলিস শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনের হাতে হত্যার শিকার হন ফ্লয়েড। তাকে রাস্তায় ফেলে আট মিনিট ধরে ঘাড়ে হাঁটু চেপে ধরে রাখেন চৌভিন। এতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান ফ্লয়েড।

এর প্রতিবাদে কারফিউ উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্ক, লস এঞ্জেলেসসহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের তহবিল কমানোর দাবি তোলেন।

‘পুলিশের তহবিল কমান’ স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এ বিক্ষোভ দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।