যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড

করোনাভাইরাস মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষের প্রাণহানির রেকর্ড করা হয়েছে; যা গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর একদিনে সর্বোচ্চ। বুধবার দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর নতুন এই রেকর্ড হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, বুধবার দেশটিতে দেড় হাজারের মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ৬৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যা বিশ্বে একক কোনও দেশে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি।

করোনার শুরুর দিকের ধাক্কা সামলে সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে সংক্রমণও; এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ লাখের বেশি মানুষ।

সংক্রমণ-মৃত্যু বাড়লেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন শিশুদের স্কুল খুলে দেয়া, ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় চালু এবং ক্রীড়া স্টেডিয়ামে দর্শকদের ফেরানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বুধবার হোয়াইট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমরা স্কুল এবং আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় খুলে দিতে পেরেছি।

করোনাভাইরাস মহামারির লাগাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও দেশটির ৫০টি রাজ্যের স্টে-হোম-অর্ডার ও অন্যান্য বিধি-নিষেধ গত মে মাস থেকেই প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে।

বিধি-নিষেধ শিথিল করার পর দেশটিতে সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করে। বিশেষ করে দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর তা বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা বুধবার সাড়ে সাত লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটিরও বেশি মানুষ।

করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে দুই শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে। তবে মঙ্গলবার বিশ্বে প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে এই মহামারি মোকাবিলায় আশার আলো দেখিয়েছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, চলতি বছরের শেষের দিকে এই ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ