যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ শহরে সংঘর্ষ, ২২০০ জন আটক

জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে হত্যার জেরে ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রায় সব শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে অন্তত ১৬টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার পুলিশ কর্মকর্তা শেভিন ৫ লাখ ডলার জামানতের বিনিময়ে জামিন আবেদন করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে যেন বারুদের আগুনে পুড়তে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। শহরে শহরে শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বল প্রয়োগ শুরু করে। এতে অন্তত ৩৩টি শহরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভ থেকে এ পর্যন্তত ২২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ইউরো ওয়েব।

স্থানীয় সময় শনিবার (৩০ মে) পর্যন্ত ৫ দিনে বিক্ষোভ-কর্মসূচির সময় টহল পুলিশ এবং হোয়াইট হাউজের সামনে সিক্রেট পুলিশের দেড় শতাধিক গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ছাড়াও মিনিয়াপলিস সিটির একটি পুলিশ স্টেশন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে লস এঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া প্রভৃতি স্থানে।

এদিকে বিক্ষোভ যখন তুঙ্গে তখনই জর্জ ফ্লয়েড হত্যার আরেকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে নিয়ে প্রকাশিত এই ভিডিওটি হত্যার দৃশ্যের পূর্বের।

ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের গাড়ির পেছন সিটে তার সঙ্গে তিনজন পুলিশের অস্বাভাবিক কিছু একটা হচ্ছে। অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা বাইরে দাঁড়িয়ে চর্তুদিকে দেখছে।

ধারণা করা হচ্ছে, গাড়ির মধ্যে জর্জ ফ্লয়েডের সঙ্গে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তার ধস্তাধস্তি হচ্ছে।

এর আগে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ কর্মকর্তা গাড়ির নিচে হাঁটু দিয়ে ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরে। তখন ফ্লয়েড বারবার বলতে থাকে, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’ পরবর্তীতে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে জর্জ ফ্লয়েড নামে ওই ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জর্জের মৃত্যু ঘটে। ইতিমধ্যে ওই চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার জন্য মূল অভিযুক্ত ডেরেক শভিনকে সোমবার আদালতে হাজির করা হবে।

সূত্রঃ সময়