যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মাঝে ইরানের যুদ্ধ মহড়া

কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হরমুজ প্রণালির কাছে তিন দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে ইরান। দেশটি এমন এক সময় এই সামরিক মহড়া শুরু করেছে যখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ওমান উপসাগরের প্রায় কুড়ি লাখ বর্গ-কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই সামরিক মহড়ায় দেশটির নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনী অংশ নিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ইরানের সরকারি গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে খবরে বলা হয়েছে, জুলফিকার-৯৯ নামের এই মহড়ায় সাবমেরিন ও ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। মহড়ার কমান্ডার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সায়ারি বলেছেন, সম্ভাব্য যে কোনও ধরনের আগ্রাসন ও বিদেশি হুমকি মোকাবিলার প্রস্তুতির উন্নতির লক্ষ্যে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মহড়ার মুখপাত্র অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি বলেন, ইরান সতর্ক করে দেয়ার পর ওই এলাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সব ধরনের ড্রোন প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

ওমান উপসাগরে চলমান এই মহড়ায় ড্রোন, ভূমি থেকে ভূমিতে, ভূমি থেকে আকাশে এবং আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান।

ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্ব শক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের পর চিরবৈরী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টানতে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতিতে তেহরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। আগামী মাস থেকে তেহরানের ওপর আরোপিত জাতিসংঘের কয়েক বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ