,যুক্তরাষ্ট্রের করোনা টাস্কফোর্সের ৩ সদস্য কোয়ারেন্টিনে, ট্রাম্পের কী হবে?

করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের গড়া ‘কনোরাভাইরাস টাস্কফোর্স’ এর তিনজন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও করোনা বিষয়ে সবচেয়ে ভোকাল ড. অ্যান্থনি ফাউসি।খবর সিএনএন ও এএফপির।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বলছে, ফাউসির পাশাপাশি কোয়ারেন্টিনে যাওয়া টাস্কফোর্সের অপর দুই সদস্য হলেন- সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড এবং খাদ্য ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কমিশনার স্টিভেন হ্যান।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সচিব কেটি মিলার করোভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন শুক্রবার এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পরের দিনই তাদের দুজনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়ার খবর এল। আর অ্যান্থনিকে নেয়া হয়েছে পরদিন।

করোনা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন ফাউসি। করোনায় আক্রান্ত হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তার সংস্পর্শে আসার ইতিহাস না থাকায় তাকে সীমিত পরিসরে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান ডা. ফাউসি আগামী দুই সপ্তাহ নিজ বাড়িতে অবস্থান করবেন। এ সময়ে তাকে মাস্ক ব্যবহার করলেই চলবে।

অনলাইনে কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। জানা গেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের মতো ফাউসিরও প্রতিদিন করোনাভাইরাস টেস্ট হত। এখন পর্যন্তই তার টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ।

কোভিড-১৯ এ শনাক্ত হওয়া একজনের সংস্পর্শে আসায় রেডফিল্ড ও হ্যানকে পুরো নিয়মেই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে তাদের কর্মস্থল প্রতিষ্ঠানের বিবৃতির বরাত দিয়ে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম।

তবে করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কি-না এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস।

ফাউসির সঙ্গে টানাপোড়েনে সম্প্রতি ‘করোনা টাস্কফোর্স’ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। একদিন পরই অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয় তালিকাতেই শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে; মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৮০ হাজার।

সূত্রঃ যুগান্তর