যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের স্মরণে আরইউজের সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নুরুল ইসলাম বাবুল ছিলেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। তিনি নিজে স্বপ্ন দেখতেন, অন্যদেরও দেখাতেন। সেই স্বপ্ন করতেন বাস্তবায়ন। একাত্তরের রণাঙ্গনে তিনি দেশের জন্য অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। একইভাবে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। আমৃত্যু শ্রম, মেধা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি সে লক্ষ্যেই কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক। অর্ধশতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের লক্ষাধিক মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করেছেন। শিল্পযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাবুল তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের জন্য দেশের মানুষের কাছে চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা সফল স্বপ্নসারথি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। দৈনিক যুগান্তরের রাজশাহী ব্যুরোর আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এর আগে গত সোমবার শিল্পযোদ্ধা নুরুল ইসলামের আত্মার মাগফেরতার কামনা করে রাজশাহী মহানগরীর একটি মসজিদে কোরআন খতম এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার রাজশাহী ব্যুরো প্রধান আনু মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হকের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, দেশের অন্যতম কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ। আর এটির স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন বীর মুক্তিযাদ্ধা নুরুল ইসলাম। তিনি দেশের যেকোনো দুর্যোগময় মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সুনামের সাথে স্থান করে নিয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে রেখেছে অসামান্য অবদান। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক। তাঁর এসব অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

বক্তারা আরও বলেন, শিল্পযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাবুলের পরিবারের সদস্যদের বিদেশি ব্যাংকে টাকা কোনো নেই। দেশের বাইরে বাড়ি নেই। তিনি দেশেই অর্ধশতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। মানুষকে চাকরি দিয়েছেন। তিনি দৈনিক যুগান্তর এবং যমুনা টেলিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের মানুষের সমস্যা এবং সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চেয়েছেন। তিনি ছিলেন সাংবাদিক বান্ধব মানুষ। সংবাদিকদের কর্মসংস্থানে তিনি অনবদ্য ভ‚মিকা পাালন করেছেন। কিন্তু অতিমারি করোনার কাছে পরাজিত হয়ে তিনি পরপারে পাড়ি দিয়েছেন। আমরা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন- রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতি কালের কন্ঠের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, দৈনিক ইত্তেফাকের ফটোসাংবাদিক আজাহার উদ্দিন প্রমুখ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার সাইফুর রহমান রকি, দৈনিক আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টর রিমন রহমান, দৈনিক সোনালী সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার শিরিন সুলতানা কেয়া, কালের কন্ঠের ফটোসাংবাদিক সালাহ উদ্দিন, ফটোসাংবাদিক গুলবার আলী জুয়েল, জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবদুস সবুর, দৈনিক যুগান্তরের নওগাঁ (নিয়ামতপুর প্রতিনিধি) রেজাউল ইসলাম সেলিম, দৈনিক সানশাইনের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান নূর, দৈনিক সোনার দেশের স্টাফ রিপোর্টার মাহাবুবুল আলম প্রমুখ।

স/রি