সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বিপদসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি। পানির এই বৃদ্ধি গত ২৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং ১৯৮৮ সালের প্রলয়ংকরী বন্যার চেয়েও ৫ সেন্টিমিটার বেশি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধরী জানান, ১৯৮৮ সালের বন্যায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এটাই ছিল এতদিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় সেটা অতিক্রম করল।
অব্যাহত বৃদ্ধির ফলে পানি ঢুকছে নতুন নতুন গ্রামে। জেলার সাত উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলাই এখন বন্যাকবলিত বলে জানিয়েছেন জামালপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রাসেল সাবরিন।
চলতি বন্যায় ইত্যিমধ্যেই আন্তঃ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রেল লাইনে পানি উঠায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে সরিষাবাড়ী ও দেওয়ানগঞ্জগামী ট্রেনগুলো। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে যে কোন সময় ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি অবস্থায় আছে।
দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবার, গো-খাদ্যের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। গত ২ দিনে পানিতে ডুবে ইসলামপুরে ৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বন্যা দুর্গতদের জন্য এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৬৭ মেট্রিকটন চাউল ও নগদ ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যা দুর্গত এলাকার জন প্রতিনিধিরা।
সূত্র: এনটিভি