‘যদি ইংল্যান্ডের হয়ে খেল, তোমাকে গুলি করব’

যুক্তরাষ্ট্রে গত মাসে পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ফ্লয়েড হত্যা ঘটনায় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে গোটা বিশ্ব।

সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের তারকারাও।

আইপিএলেও তিনি বর্ণবাদের স্বীকার হয়েছেন বলে মুখ খুলেছেন এই কৃষ্ণাঙ্গ তারকা।

এবার স্যামির পথ ধরে নিজের কষ্টের কথা জানালেন কৃষ্ণাঙ্গ সাবেক ইংলিশ পেসার ফিলিপ ডি ফ্রেইটাস।

ইংল্যান্ড দলে ডাক পাওয়ায় নাকি মৃত্যুর হুমকিও পেয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর হুমকি নিয়েই মাঠে নামতেন তিনি।

যে কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে না পেরে ক্যারিয়ারও লম্বা করতে পারেননি এই সাবেক ইংলিশ তারকা।

৩১ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় জানান ফ্রেইটাস।

সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টসের পডকাস্টে ফিলিপ বলেন, ‘আমি যুক্তরাজ্যের কট্টোরপন্থী রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল ফ্রন্টের কাছ থেকে ঘৃণাভরা চিঠি পেয়েছি। বেশ কয়েকবার পেয়েছি। সেখানে বারবার আমাকে হুমকি দেয়া হতো। চিঠিগুলোতে লেখা থাকত – যদি ইংল্যান্ডের হয়ে খেল, তোমাকে গুলি করব আমরা।’

তিনি বলেন, গুলিতে মারা যাওয়ার শঙ্কা নিয়েই মাঠে নামতাম। লর্ডসে টেস্ট খেলার জন্য হোটেলে অবস্থানেরও আমার মাথায় এই চিন্তা ঘুরপাক করত , খেলব কি খেলব না? যদি স্নাইপার থাকে মাঠের আশপাশে!

এক সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সাহায্য নিয়েছিলেন বলে জানান ফিলিপ ডি ফ্রেইটাস।

তিনি বলেন, আমার ঘরের পাহারায় পুলিশ বসানো হয়েছিল। বাড়তি নিরাপত্তাও নিয়েছিলাম। আমার নামে একটি গাড়ি ছিল। আমি সে নামটাও মুছে দিয়েছিলাম। লন্ডনে সে গাড়ি চালানোর চিন্তাও করতে পারিনি কখনও।

একরাশ হতাশা প্রকাশ করে ফ্রেইটাস বলেন, এই সমস্যায় কখনও কারও সাহায্য পাইনি। সব একাই সামলেছি। ৩১ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে বাড়ি ফিরেছি।

কৃষ্ণাঙ্গ হয়েও ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে খেলাতে তাকে এই হুমকি পেতে হয়েছে বলে মনে করেন ফ্রেইটাস।

তিনি বলেন, আমার মনে আছে বাড়ি ফিরে মাকে বলেছিলাম, আমাকে ইংল্যান্ড দলে মানায় না। তবে যা অর্জন করেছি, তাতে আমি গর্বিত।

প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে ৪৪ টেস্ট ও ১০৩ ওয়ানডে খেলেছেন ফ্রেইটাস। উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ১৪০ ও ১১৫টি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড দলের অন্যতম পেসার ছিলেন তিনি।