ম্যারাডোনাকে নিয়ে বাংলাদেশে গান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

ম্যারাডোনা এক বিশেষণহীন নাম, কিংবা যার পায়ের যাদুকে বর্ণনা করতে গিয়ে বিশ্বের সকল ভাষার বিশেষণও অপর্যাপ্ত হয়ে ওঠে।  পৃথিবীর আনাচে কানাচে, পাহাড়ে পর্বতে, অপরিচিতের হৃদয়ে আর্জেন্টিনার নামটি সর্বপ্রথম পৌঁছে দিয়েছেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনা দেশটির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন তিনি।

খেলোয়াড়ের বাইরে ম্যারাডোনা চে গুয়েভারার অনুরাগী। ধমনীতে বিপ্লবের রক্ত বয়ে চলে। তাই এই মহান খেলোয়াড়ের মহাপ্রয়াণে বলা যায় ‘বিপ্লব চলে যায় না। অদৃশ্য শ্লেষ্মার মতো জমে থাকে বুকে। বিপ্লবীদের প্রস্থান নেই। ম্যারাডোনা, এক ফুটবল বিপ্লবের নাম। যাকে হৃদয়ে পুষে রাখবে প্রতিটি ফুটবল প্রেমী। ম্যারাডোনা নামটি খোদিত হয়ে থাকলো শত কোটি হৃদয় প্রকোষ্ঠে।

বিশ্বের কোথায় ম্যারাডোনার ভক্ত নেই? সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অগণিত ম্যারাডোনার ভক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশে ফুটবল ভক্তদের মধ্যে দুই ভাগে বিভক্ত। একদল আর্জেন্টিনা, আরেকদল ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার এই কোটিভক্ত শ্রেণী তৈরি করে গেছেন ম্যারাডোনা। যার প্রয়াণে স্বাভাবিকভাবে এদেশের মানুষের হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হবে। সেটাই হয়েছে। ম্যারাডোনাকে ভালোবাসা এটা শুধু আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। দল সমর্থনের বাইরেও বেখেয়ালি ম্যারাডোনা ছিলেন সকলের পছন্দের।

ইশতিয়াক আহমেদ ও লুৎফর হাসান। একজন গীতিকার আরেকজন গায়ক। একজন আর্জেন্টিনার সমর্থক একজন ব্রাজিলের। মিল ম্যারাডোনার প্রতি ভালোবাসা। ইশতিয়াক আহমেদ ম্যারাডোনার প্রয়াণে শোকার্ত, ব্যথিত হয়ে লিখে ফেললেন তাঁকে নিয়ে একটি গান, ‘তুমি ম্যারাডোনা’

তোমার নামে এখনও রক্তে হায়
তুমুল কাঁপন বলে, জাগো।
তুমিই ম্যারাডোনা একজন
ভালোবাসা তুমি দিয়াগো…

আর সে গানে রাত জেগে সুর দিলেন লুৎফর হাসান। কণ্ঠ দিলেন লুৎফর হাসানের সঙ্গে শাহরিদ বেলাল। সংগীত আয়োজন করলেন আয়োজন আমজাদ হোসেন। হয়ে উঠলো তুমি ম্যারাডোনা।

ইশতিয়াক আহমেদ অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলছেন, ‘সামান্য লিখতে পারা একজন হিসেবে এই সময়ের কাছে আমার কিছু দায় আছে। আমি আমার সময়ের কিছু কীর্তিমানকে নিয়েও লিখেছি। আগামীতেও লিখবো হয়তো। কারণ তাদের কাছে আমার এক অকৃত্রিম ঋণ। তারা বিভিন্নভাবে আমার বেড়ে ওঠায় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। ম্যারাডোনাও সেই তালিকার একজন। সম্প্রতি যার মহাপ্রয়াণ আমাকে অসম্ভব বেদনাক্রান্ত করেছে। শুধু আমাকে নয়, আমার পিতাও সেই তালিকায় আছে।’

লুৎফর হাসান বলেন, ‘গানটার সাথে চারজন মানুষ জড়িত। তিনজন ব্রাজিলের সাপোর্টার, একজন আর্জেন্টিনার। কিন্ত সকলের কাছে ম্যারাডোনা অন্য রকম বিস্ময়, ভালোবাসার খুব প্রিয় জায়গায়। গানটা হৃদয় থেকেই করেছি আমরা।’

এশিয়ার এক কোনের দেশ বাংলাদেশের ভক্তদের কাছ থেকে ম্যারাডোনার প্রতি এই ভালোবাসা ম্যারাডোনা হয়তো জানতে পারবেন না। তবুও ভালোবাসার প্রকাশ কখনো থেমে থাকে না বলে মঞ্জে করেন ইশতিয়াক আহমেদ।

সূত্র: কালেরকন্ঠ