‘ম্যাড ম্যাক্স’ পরিচালকের সিদ্ধান্তে হতাশ শার্লিজ থেরন

জর্জ মিলারের ‘ম্যাড ম্যাক্স: ফিউরি রোড’ শার্লিজ থেরনের ফিউরিওসা চরিত্রটি ছাড়া ভাবাই যায় না। এই চরিত্রের অরিজিন স্টোরি দেখানোর জন্য প্রিক্যুয়েলের পরিকল্পনা করেছেন পরিচালক। এতে হতাশ হয়েছে থেরন।

না, সিনেমা নির্মাণ নিয়ে হতাশ নন। আসলে প্রিক্যুয়েলে বয়সজনিত কারণে শার্লিজ থেরনের অভিনয়ের সুযোগ থাকছে না।

হলিউড রিপোর্টাররকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোমবার নিজের মনোভাব প্রকাশ করেন ‘মনস্টার’ সিনেমার জন্য অস্কার-জয়ী নায়িকা।

গত মে মাসে নিউইয়র্ক টাইমসের কাছে প্রিক্যুয়েলের কথা প্রকাশ করেন জর্জ মিলার। তিনি জানান, থেরন অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে কাজ করতে চান। ফিউরিওসার অতীত তুলে ধরবেন প্রিক্যুয়েলে। মূলত ২০ বছর বয়সের আশপাশে থাকবে গল্প। এ জন্য তরুণ একজন অভিনেত্রী খুঁজছেন।

মিলারের এ সিদ্ধান্তকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলেন থেরন। কিন্তু এতে তিনি অসন্তুষ্ট নন। বরং ‘ম্যাড ম্যাক্স’ সিরিজের অংশ হতে পেরে কৃতজ্ঞ। মিলারকে সিরিজটির ‘মাস্টার’ উল্লেখ করে আরও জানান, আশা করছেন নির্মাতা নিজের সেরাটাই দেখাবেন নতুন সিনেমায়। ফিউরিওসার অতীত জানতে ভীষণ আগ্রহী বলেও জানান।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল, ২০১৫ সালের সিনেমাটি নির্মাণের আগে প্রায় প্রতিটি চরিত্রের পেছনের গল্প লেখা হয়েছিল, যার মধ্যে সবচেয়ে বিস্তারিত বর্ণনা ছিল ফিউরিওসার। এমনকি ‘ফিউরি রোড’ তৈরির আগেই ফিউরিওসার ওপর সম্পূর্ণ চিত্রনাট্য লিখে ফেলেন জর্জ মিলার।

থেরনকে এরপর দেখা যাবে নেটফ্লিক্সের অ্যাকশন মুভি ‘দ্য ওল্ড গার্ড’-এ। সাধারণত অভিনেত্রীরা অ্যাকশনের পথ মাড়ান না, কিন্তু পরপর এ ধরনের সুযোগ পাওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান ভাবছেন শার্লিজ থেরন।