ম্যাজিশিয়ান সালাহর হ্যাটট্রিকে লিভারপুলের শ্বাসরুদ্ধকর জয়

এক দল লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, আরেক দল ১৬ বছর পর দ্বিতীয় বিভাগ থেকে উঠে এসেছে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কিন্তু দুই দলের মাঠের লড়াইয়ে বোঝার উপায় ছিল না কারা এগিয়ে বা কারা পিছিয়ে। সমানে-সমান লড়াইয়ে ফুটবলপ্রেমিরা উপভোগ করতে পেরেছে সাত গোলের এক রোমাঞ্চকর ম্যাচ।

বলা হচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দুই দল লিভারপুল ও লিডস ইউনাইটেডের মধ্যকার ম্যাচের কথা। যেখানে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের কঠিনতম পরীক্ষাই নিয়েছেন কোচদের কোচ মার্সেলো বিয়েলসার লিডস। যে কারণে নিজেদের ঘরের মাঠেও তিন গোল হজম করতে হয়েছে লিভারপুলকে।

সাত গোলের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল জিতেছে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে। যেখানে ম্যাচের ফল নির্ধারক হ্যাটট্রিক করেছেন ইজিপশিয়ান জাদুকর মোহামেদ সালাহ। তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ হওয়ার ও ম্যাচের ফল নির্ধারণী গোলটি হয়েছে ৮৮ মিনিটে গিয়ে। এতেই বোঝা যায়, কতটা অনিশ্চয়তায় ভরা ছিল পুরো ম্যাচটি।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের সাজানো ম্যাচে সিংহভাগ সময় বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল লিডসই। তবে আক্রমণের ধাঁরে আবার অনেক এগিয়ে ছিল লিভারপুল। তবে যে কয়বার সুযোগ পেয়েছে লিডস, কাজে লাগিয়েছে প্রতিবার। তবে লিভারপুলের চতুর্থ গোলের আর জবাব দিতে পারেনি তারা।

ম্যাচের প্রথম গোলটি হয়েছে চতুর্থ মিনিটের সময়। মোহামেদ সালাহর একটি শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। গোলের সহজতম সুযোগ হাতছাড়া করেননি সালাহ। তবে এই লিড মাত্র ৮ মিনিট রাখতে পেরেছিল তারা। কেননা ১২ মিনিটের সময়ই ম্যাচের স্কোরলাইন ১-১ করেন লিডসের ইংলিশ উইঙ্গার জ্যাক হ্যারিসন।

দুই দলেরই কারোরই রক্ষণাত্মক খেলার কোনো পরিকল্পনা ছিল না যেন। ফলে একের পর এক আক্রমণ দেখা গেছে পুরো ম্যাচজুড়ে। যার সুবাদে ২০ মিনিটের সময় ফের লিড নেয় লিভারপুল, এবার গোলদাতা ভার্জিল ফন ডাইক। দ্বিতীয়বারের মতো সমাতে ফেরাতে লিডস খরচ করে ১০ মিনিট, এবার গোল দেন প্যাট্রিক ব্যামফোর্ড।

দ্বিতীয়বারের মতো সমতা ফেরার তিন মিনিটের মধ্যেই প্রথমার্ধের গোলসংখ্যাকে পাঁচে পরিণত করেন সালাহ। যার ফলে ইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো আসরের প্রথম দিনেই কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে দেখা মেলে পাঁচ গোলের। এর আগে ২০০৬ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ফুলহ্যামের ম্যাচে দেখা গিয়েছিল এমনটা।

পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে লিডস। তবে বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি তাদের। ম্যাচের ৬৬ মিনিটের সময় আরও একবার স্কোরলাইনে সমতা আনে লিডস, গোল করেন মাতেউজ ক্লিচ। মনে হচ্ছিল ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত অবস্থায়ই হয়তো শেষ হবে ম্যাচ।

ঠিক তখনই ভুল করে বসেন লিডসের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রদ্রিগো। ম্যাচের ৮৬ মিনিটের সময় নিজেদের ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করে ফেলে দেন ফাবিনহোকে। ফলে ম্যাচের দ্বিতীয় পেনাল্টি পায় লিভারপুল। সেখান থেকে নিজের হ্যাটট্রিক ও দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন মোহামেদ সালাহ।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ