মোদির টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক, জড়িতদের ধরতে মাঠে তদন্তদল

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইটার অ্যাকাউন্ট কিভাবে হ্যাক হয়েছিল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। তার ৭৩ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ারের উদ্দেশে একটি মিথ্যা টুইট করে বলা হয়, ভারত বিটকয়েনকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে এবং দেশের মানুষের কাছে বিতরণ করছে।

টুইটারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, অ্যাকাউন্টটি এখন সুরক্ষিত। বিষয়টি টুইটার ইনকরপোরেটেডের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং এই টুইটটি উপেক্ষা করা উচিত।

টুইটার বলেছে, হ্যাকটিতে তার সিস্টেমগুলো লঙ্ঘন করা হয়নি। টুইটারের একজন মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে কম্পানির যোগাযোগের সার্বক্ষণিক লাইন খোলা আছে এবং মোদির অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করা হয় ‘কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হওয়ার সাথে সাথেই’। টুইটার তদন্তে জানাচ্ছে, অন্য কোনো অ্যাকাউন্ট প্রভাবিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।

টুইটার বলছে, তাদের অ্যাকাউন্টগুলোকে সুরক্ষিত করার জন্য ব্যবহারকারীরা টু-ফ্যাক্টর সক্রিয় করার মতো পদক্ষেপ নেয়। শুধুমাত্র একটি পাসওয়ার্ড নয়, লগ-ইন করার জন্য দ্বিতীয় ধরনের শনাক্তকরণেরও প্রয়োজন হয়। যেমন একটি অ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো কোড। তবে, একজন মুখপাত্র মোদির অ্যাকাউন্ট কতটুকু সুরক্ষিত ছিল সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে অস্বীকার করেন।

একজন ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা বলেন, অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত করার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এবং তদন্তটি আইপি ঠিকানা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীকে পরীক্ষা করবে যা হ্যাকার অ্যাকাউন্টটি অ্যাক্সেস করতে ব্যবহার করেছিল।

একটি সংসদীয় বুলেটিন অনুসারে ভারত সরকার গত মাসে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ভারতে ব্যক্তিগত ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার একটি বিল বিবেচনা করে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা জারি করা একটি সরকারি ডিজিটাল মুদ্রা তৈরি করার কথা বলার পরে হ্যাকটি হয়েছিল।

গত মাসে একটি বক্তৃতায় মোদি বলেছিলেন, বিটকয়েন ভুল হাতে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোর একসাথে কাজ করা উচিত।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ