মোদির কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি: রাহুল গান্ধী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক নষ্ট করছেন নরেন্দ্র মোদি- এমন অভিযোগও করেন তিনি।

 

সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে দ্য ইকনমিস্ট পত্রিকার একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই রাহুল গান্ধী বুধবার টুইটে বলেন, কংগ্রেস দীর্ঘদিন চেষ্টা করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেছিল। বেশ কয়েক দশক লেগেছিল এই সম্পর্ক তৈরি করতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই সম্পর্ক নষ্ট করছেন।

টুইটে ওই প্রতিবেদনটি শেয়ার দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দুর্বল হচ্ছে, চীনের সঙ্গে শক্তিশালী হচ্ছে’। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল মন্তব্য করেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুহীন হয়ে থাকাটা ভয়ংকর।’

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির খবর বলা হয়েছে, কংগ্রেস মোদি সরকারের পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়েছে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী দেশটির অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে।

ডয়েচে ভেলে জানায়, ইকনমিস্টের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। আর এই অবস্থায় চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছে। গত কয়েক মাস ধরে লাদাখে ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। প্রবল উত্তেজনা রয়েছে। সেনা ও মন্ত্রী পর্যায়ে একাধিকবার আলোচনার পরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এই অবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ভালো হওয়া মানে ভারতের কাছে অশনি সংকেত। কারণ, প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গেই সব চেয়ে ভালো সম্পর্ক ছিল ও আছে ভারতের।

সেখানেই রাহুলের অভিযোগ, মোদির নীতির জন্য বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশীর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আগে থেকেই খারাপ। সম্প্রতি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিকে ঠেকেছে। নেপালও নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে ভারতের কয়েকটি এলাকা দাবি করেছে। ফলে নেপালের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ নয়। শুধু ভুটানের সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো।

খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে চীন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে বোঝার পরই সম্প্রতি পররাষ্ট্র সচিবকে ঢাকা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ অঘোষিত সেই সফরের পর ভারত জানিয়েছিল, তারা এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে একাধিক প্রকল্পের কাজ শেষ করবে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর