মোহনপুরের সেই প্রতিবাদি নারীকে প্রকাশ্যে পেটানোর অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক:

মোহনপুরেন সেই সাবেক ইউপি সদস্য ও উপজেলা কৃষক লীগের মহিলা সম্পাদক শেখ হাবিবাকে প্রকাশ্যে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার দুপুরে তাঁকে মোহনপুর উপজেলা চত্বরে  একরামুল হক বিজয়ের নেতৃত্বে পেটানো হয়। এনামমুল হক এমপি আয়েন উদ্দিনের সাবেক পিএস। এ ঘটনার প্রতিবাদে হাবিবা সেখানেই অনশনে বসেন। এরপর তাঁকে আবারো পেটাতে পেটাতে মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে একই ঘটনার জেরে হাবিবাকে দুই দফা পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগও রয়েছে এমপি আয়েনের বিরুদ্ধে।

এরই ধারাবাহিতায় গতকাল বিকেলে আবারো পেটানো হয় তাঁকে।

ঘটনার পরে হাবিবা জানান, তিনি দুপুরে উপজেলা চত্বরে এলে বিনা কারণে এমপি আয়েন উদ্দীন ও তার দুলাভাই উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের উপস্থিতিতে এনামুল হক বিজয় তাঁকে পেটাতে থাকেন। পিটিয়ে তাকে রেখে চলে গেলে হাবিবা প্রতিবাদ জানিয়ে সেখানেই অনশনে বসে পড়েন। পরে বিকেলে আবারো বিজয়ের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে টেনে হিঁচড়ে ও পেটাতে পেটাতে তাঁকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়। এসময় তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়। পরে সেখানে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার হন হাবিবা। পরে চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুরঞ্জিত সরকার বলেন, ‘এমপি আয়েন উদ্দীনের দখলসহ বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় এর আগে হাবিবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করানো হয়। সে মামলায় হাবিবাকে পুলিশ দিয়ে আটকে নির্যাতন করেছিলো। তাঁকে দুই দফা কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর আবারও বুধবার দুপুরে এমপি আয়েন উদ্দীনের উপস্থিতিতেই মারপিট করা হয়।’

এবিষয়ে এমপি আয়েন উদ্দীনের সাবেক পিএস ও চাচাতো ভাই এনামুল হক বিজয় বলেন, ‘হাবিবাকে আমি কি মাইরবো, আমাকেই কামড় দিয়ে খামছে আহত করেছে।’ একথা বলেই ফোন কেটে দেন বিজয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মোহনপুর থানার ওসি সেলিম বাদশা বলেন, ‘আমি আইজিপি স্যারের অনুষ্ঠানে শহরে আছি। এবিষয়ে অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

স/আর